শীতকালে বাঙালির থাকে একগুচ্ছ প্ল্যানিং। তার মধ্যে অনেকেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার জন্য বরাদ্দ করে রাখেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা হয়নি। ২০১৯-এর পর এইবার আয়োজিত হতে চলেছে পৌষ মেলা। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল উচ্ছ্বাস।
জানা গিয়েছে, ১৩ই নভেম্বর বিশ্বভারতীতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক আয়োজিত হয়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও মেলা হওয়ার খুশিতে ভাসছে গোটা বোলপুর-সহ রাজ্যবাসী। পৌষ মেলা দেখতে শুধুমাত্র আশপাশের জেলা নয়, বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই মেলায়। পাশাপাশি এই খবরে খুশি হয়েছেন বিশ্বভারতী আবাসিক-সহ ছাত্র ছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, গত বছর রাজ্য সরকারের তরফে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সাতদিনের বদলে চার দিনের মেলার আয়োজন করা হয়। পূর্বপল্লী মাঠ অর্থাৎ মেলা প্রাঙ্গণেই ভাড়া নিয়ে পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিশ্বভারতীর কোনও ভূমিকা ছিল না বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শুরু হয়েছিল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। তারপর থেকে সেই প্রথাই চলে আসছে। বছরের পর বছর ধরে বিশ্বভারতী এবং ট্রাস্টের উদ্যোগে জাঁকজোমকভাবে মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলার উপর বীরভূম জেলার অর্থনীতিতে অনেকটাই প্রভাব পড়ে। ফলে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মেলা হওয়ার খবর শুনে খুশি এলাকার মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা।
Discussion about this post