বজবজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। যা ঘিরে এমনিতেই উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দান। এইবার ভবানীপুরে ডক্টর রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন সুকান্ত মজুমদার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সুকান্ত মজুমদারের বাংলা দিবস পালনের চেষ্টার ফলে পুলিশ আটকেছে। কিন্তু আদতে পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, ওই এলাকায় বিরোধীদলের কোনও নেতৃত্ব গেলে অশান্তি তৈরি হতে পারে। কারণ ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ি। আর সেখানে এদিন একশন দেখালো বিজেপি। অনেকে আবার বলছেন, নির্বাচনের আগেই তৃণমূলকে ক্ষমতা দেখালো বিজেপি।
এদিকে বিজেপি ২০ শে জুন বাংলা দিবস হিসাবে পালন করতে চায়। যেটা রাজ্য প্রশাসন একেবারেই চাইছে না বলে অভিযোগ উঠছে। বিরোধীরা বলছে, সুকান্ত মজুমদার শুধুমাত্র বিরোধীদলের সভাপতি নন, তিনি একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপরও একজনের আমন্ত্রণ রক্ষা করার জন্য যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সুকান্ত মজুমদার পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেখানে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয় বলে অভিযোগ। টেনে হিচড়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি ডঃ রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ততক্ষণে পায়ে হেঁটে চলে আসায়, তাকেও পুলিশ ভ্যানে তোলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ডঃ রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ ছিল, সেটা প্রমাণিত হল। এখন প্রশ্ন, কেন এমন বলা হচ্ছে, যে ডঃ রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রেগে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? এক্ষেত্রে অনেকে বলছেন, যেভাবে তিনি কেলগ কলেজে প্রশ্ন ছুঁড়ে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নাকি ক্ষোভ ছিল। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই বিষয়ে তিনি ঠিকই বলেছিলেন শুনুন
লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ডক্টর রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
কেলগ কলেজে আমি তো প্রশ্ন করেছি।..আমার জামাটা সাদা বললে সাদা মেনে নিতে হবে ! এখানে সবাইকে লেজ নেড়ে বলতে হবে সাদা। সত্য কথা। আমি ওখানে প্রশ্ন করেছিলাম। উনি জবাব দিতে পারেননি। পাশ থেকে ওকে কে কী বলেছে, আক্রমণ করেছে,..আক্রমণ তো ফেস করতেই হবে। চিকিৎসকের অভিযোগ সেই ঘটনারই পরই পাল্টা তাকে নানাভাবে নিগ্রহ করা হচ্ছে। ঠিক কি বললেন তিনি শুনুন
তবে এদিনের এই ঘটনায় তোপ দাগছে বিজেপি। এদিনের এই ঘটনার পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার।
Discussion about this post