এবার আরপিএফের এক ওসিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের তরফেও। সবমিলিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিবাদের এক নতুন মাত্রা যোগ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওই দিন তারকেশ্বর স্টেশনে হকার উচ্ছেদ এবং হকারদের উপর রেল রক্ষী বাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই মতো জমায়েত করেছিলেন তারকেশ্বর স্টেশন এবং আশেপাশের হকাররা। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়। এরপর তিনি রেল রক্ষী বাহিনীর ওসি অনিল মিশ্রকে ডেপুটেশন দিতে যান। অভিযোগ, সেখানেই আরপিএফ ওসির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। এক ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, তারকেশ্বরের বিধায়ক আরপিএফ ওসি অনিল মিশ্রর দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে হুমকির সুরে কথা বলছেন। এমনকি তাঁকে বলতে শোনা যায়, ঘুষের টাকায় থানা চলে। পাশাপাশি তিনি যখন তখন আরপিএফের অভিযান হওয়া অথবা মোটা অঙ্কের জরিমানা করা নিয়েও সরব হয়েছিলেন বলে দাবি। তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যগুলি নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
সূত্রের খবর, বিষয়টি হালকা ভাবে নেয়নি রেল রক্ষী বাহিনীও। সূত্রের খবর, তারকেশ্বরের আরপিএফ ওসি তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। রেল রক্ষী বাহিনী সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারকেশ্বরের বিধায়কের বিরুদ্ধে থানার ভিতর ঢুকে উত্তেজনা ছড়ানো, কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারিকে হুমকির মতো অভিযোগ জানানো হচ্ছে। যদিও পরবর্তী সময় কিছুটা নরম সুর দেখিয়েছেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি পরে বলেন, একজন হকারের কাছে ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করছে আরপিএফ। এমনকি একজনকে গ্রেফতারও করেছে। তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন, পুজোর পর এই বিষয়ে হাওড়ার ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করবেন।
Discussion about this post