গরু পাচার মামলায় আপাতত জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই প্রথম লোকসভা নির্বাচন। ‘কেষ্ট’ অনুপস্থিতি ভোটবাক্সে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ব্যবধান বাড়িয়ে চতুর্থবার ভোটে জয়ী শতাব্দী রায়। ফলপ্রকাশের পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে তারাপীঠে পুজো দিলেন শতাব্দী। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ তারাপীঠ মা তারা মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য উপস্থিত হন সপরিবারে।
জবা ফুলের মালা থেকে শুরু করে আলতা সিঁদুর দিয়ে দীর্ঘক্ষণ মা তারার মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে পুজো দেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হয়ে জানান গতকাল সবকিছু শেষ হতে অনেক রাত্রি হয়ে গিয়েছিল বলে তারাপীঠ মন্দিরে আসা হয়নি। তবে যেহেতু প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি তার প্রচার শুরু করেছিলেন। আর প্রচার শুরুর পর বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।
তাই জেতার পরেও মা তারার মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি আগামী দিনের কাজ শুরু করবেন। বুধবার তারাপীঠে শতাব্দী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তারা মায়ের আশীর্বাদ আছে। আর তাই পর পর কয়েকটা বছর বীরভূমে কাটাতে পারলাম। প্রত্যেক কর্মী খুব পরিশ্রম করেছেন। আবেগের সঙ্গে ভোট করেছেন কর্মীরা। তাই এই ফল। আবারও নতুন করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বীরভূমবাসীকে।’ এরপরই তার মুখে শোনা যায় ‘কেষ্ট’ নাম। বলেন, তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
Discussion about this post