মতুয়া অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনকে ঘিরে আগ্রহ ছিল প্রথম থেকেই। বাগদায় মতুয়া প্রজন্মের নতুন মুখ, ২৫ বছর বয়সী মধুপর্ণাকে ভোট-রাজনীতিতে নামিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিনয়কুমার বিশ্বাস। বাগদা উপনির্বাচনের লড়াই এবার কার্যত ঠাকুর বনাম ঠাকুর। এবার নবাগতা রাজনীতির মুখ মধুপর্ণাকে নিয়েই ভোটের দিন বাঁধল বিতর্ক। জানা যাচ্ছে, সকাল থেকে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর তাঁর মায়ের সঙ্গে ঘুরছেন । মমতা বালা ঠাকুর ঘুরছেন তাঁর সাংসদ গাড়ি নিয়ে। গাড়িতে লেখা রয়েছে গভর্মেন্ট অব ইন্ডিয়া । এমপি । এই ধরনের লেখা একটা গাড়িতে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থী ঘুরতে পারেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। গভর্নমেন্ট ওফ ইন্ডিয়া লেখা গাড়িতে মধুপার্নাকে দেখে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে চেপে ধরতেই গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বোর্ড ঢেকে দেওয়া হয়।
এরপরই মমতা বালা ঠাকুর বলেন, “আমার মেয়ে তো এই গাড়িতে থাকতেই পারে। গাড়ি তো বুথের ভিতর ঢুকছে না। কিংবা গাড়িতে বুথে গিয়েও ভোট দিচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী সম্পর্ক থাকে? এই গাড়ির নম্বর দিয়েই তাঁরা নির্বাচন কমিশন থেকে পাস তুলেছেন। তখন তো কমিশনের কেউ আপত্তি করেনি।” ভোটযুদ্ধে মেয়ে কনিষ্ঠ প্রার্থী হওয়ার কারণেই তিনি গাইড করার জন্য সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছেন। সাফাই দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মা। মধুপর্ণা ঠাকুরের বক্তব্য, “মায়ের গাড়িতে কি সন্তান ঘুরতে পারে না, এটা কি অপরাধ? বিজেপি জানে যে ওরা হেরে বসে রয়েছে। তাই এখন কাঠিবাজি করছে।নাটক করছে। প্রার্থীকে পিছনো করার ষড়যন্ত্র। মানুষ কি গভর্মেন্ট অব ইন্ডিয়ার লোগো দেখে ভোট দেবে, তৃণমূলের চিহ্ন দেখে ভোটে দেবে।” যদিও বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক বিনয়কৃষ্ণ বিশ্বাসের বক্তব্য, “নিশ্চয়ই এটা অন্যায়। জনতার মধ্যে প্রভাব ফেলছ”।
Discussion about this post