বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল্লির। একদিকে বাংলাদেশের ভারত দখলের হুমকি! অন্যদিকে ভারতের পূর্বের সীমান্ত ঢেলে সাজাতে মহড়া বায়ুসেনার। দিল্লির বার্তা বুঝতে পারছে বাংলাদেশ? আবারও যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর পথে হাঁটছে ভারত তেমন বলেননি দিল্লি। তবে, ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। কেবল ভয় পাচ্ছে বললে বোধ হয় সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয় না। তারা আসলে ভয়ে কাঁটা। কৃত কর্মের ফল ভাল নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কি এবার ছদ্ম সাহস দেখাতে গিয়ে হুমকির পথে হাঁটছে ভারতের পূর্বের প্রতিবেশি, উঠছে প্রশ্ন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হলে পরিণতি ভাল হবে না, এমন আশঙ্কা থেকে এবার ভারতকে হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন ‘ইনকিলাব মঞ্চের’ আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে,”ভারত পাকিস্তানের মতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।” তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি ভারত বাংলাদেশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার জন্য তাঁদের সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে। শক্তি জোরদার করছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য। আমি ইনকিলাব মঞ্চ থেকে ভারতের কাছে অনুরোধ জানাই আল্লার ভাস্তে বাংলাদেশের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালান। আর যদি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় বিশ কোটির ছাত্র জনতা, ভারতের কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেবে।” বাংলাদেশ থেকে এমন মন্তব্য ভেসে এলেও, এ বিষয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত ব্যক্ত করেনি নর্থ ব্লক। তবে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যা চলছে তাতে খোদ বাংলাদেশিরাই যে প্রমাদ গুণছেন তা স্পষ্ট এমন আশঙ্কা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশের দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। অভিযোগ, নৈরাজ্যের প্রতিবেশী দেশে বেছে বেছে হিন্দুদের লক্ষ্য করে জোরতর আক্রমণ চলছে। এমনকি হিন্দুদের দোকান, বাড়িঘরে চলছে ভাঙচুর-লুঠপাট। সেই সঙ্গে মন্দিরেও ভাঙচুর চালাচ্ছে কট্টরবাদীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ‘শান্তি বাহিনী’ পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা কখনও বলা হয়নি ভারতের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। “একজন মুখ্যমন্ত্রীর তো কথার ওজন থাকবে? এখানে যাঁরা পড়তে বা কোনও কাজে এসেছেন সেই ভারতীয়রা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।” এমনই জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা ক্রমশ হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, গোটা বিশ্ব ধিক্কার জানাচ্ছে বাংলাদেশের এই ধরনের আচরণের জন্য। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে একবারের জন্য উল্লেখ করা হয়নি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা। তবুও বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মতো মহলগুলি থেকে বারংবার উঠে আসছে পাকিস্তানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ।
Discussion about this post