সাম্প্রতিক আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগকে “রাজনৈতিক স্বজনপোষণের সুন্দর পন্থা” আখ্যা দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছ’টি প্রশ্ন তুলেছেন, যার জবাব রাজ্য সরকারকে আগামী মঙ্গলবার হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে। এদিন ছ’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে সেই সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। সেই সঙ্গে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবার রাজ্যের কাছে একাধিক প্রশ্নের জবাব চাইবে সুপ্রিম কোর্ট। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে? কোন আইন মেনে নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তাঁদের যোগ্যতা কী? আগে কারও বিরুদ্ধে অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না? মাস শেষে কীভাবে বেতন দেওয়া হয় তাঁদের? কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে? গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা তোলপাড় ফেলেছিল গোটা দেশে। এর পর শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই শুনানিতে ডাক্তারদের সংগঠনের তরফে অভিযোগ ছিল, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালের নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার। তাদের আপত্তির কারণ ছিল, আরজি করে মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার। হাসপাতালে দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এর পরেও কেন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে জোর দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিল ডাক্তারদের সংগঠন। তার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে আধ ডজন প্রশ্ন তুলেছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি।
Discussion about this post