১০ বছর পর লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লোকসভার বিরোধী দলনেতার জন্য একটি আসন বরাদ্দ হল। কারণ, এর আগের দুটি সাধারণ নির্বাচনে কোনও দলই বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। কিন্তু ২০২৪ লোকসভায় বিজেপির খারাপ ফল এবং বিরোধী শিবিরের ভালো ফল বিরোধী দলের মর্যাদা এনে দিয়েছে কংগ্রেসকে। রাহুল গান্ধিকে বিরোধী দলনেতা মনোনীত করেছে ইন্ডিয়া জোট। তাই এবার রাহুলের জন্য লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মূল অনুষ্ঠানে একটি আসন বরাদ্দ হয়েছিল নিয়মমাফিক। কিন্তু আদতে দেখা গেল, রাহুল গান্ধি বসে রয়েছেন একেবারে পিছনের সারিতে একটি আসনে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়ে যায়। কেন বিরোধী দলনেতাকে বসতে হবে পিছনের সারিতে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হন অনেকেই। কিন্তু পরে বিতর্কে জল ঢেলে এর জবাব দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
কোথায় বসেছিলেন রাহুল গান্ধি?
এবারের স্বাধীনতা দিবসে অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। তাঁদের জন্য বসার আসন নির্দিষ্ট ছিল। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে ভারতীয় হকি দলের পিছনে বসে রয়েছেন। রাহুলের পাশে বসেছিলেন, হকি দলের ব্রোঞ্জজয়ী সদস্য ললিত উপাধ্যায়। ওই সারিতে ছিলেন জোড়া ব্রোঞ্জজয়ী মনু ভাকেরও। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। প্রশ্ন ওঠে, প্রটোকল অনুযায়ী, সামনের সারিতেই বিরোধী দলনেতার আসন থাকার কথা। বিতর্কের পরই জবাব দিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাঁরা জানায়, রাহুল নিজেই সেখানে গিয়ে বসেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা রাহুলকে তাঁর আসন চিনিয়ে দিয়ে বসতে বলেছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধি জানিয়েছিলেন, আমি সাধারণ মানুষের মধ্যে বসতে চাই। আমি এখানে উপস্থিত নেতাদের নিয়ে হাউসে বসি। আজ ওদের সঙ্গে বসবো। এই বলে তিনি অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের মধ্যে গিয়ে বসেন। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাঁরাই ঠিক করে আমন্ত্রিত অতিথিরা কে কোথায় বসবেন। এদিন রাহুল গান্ধি পিছনের সারিতে বসা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি দেয়। যদিও রাহুল গান্ধি নিজে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের সুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Discussion about this post