বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সীমান্তে আরাকানদের প্রবল দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে জুন্টা বাহিনীকে হটিয়ে স্বাধীন রাখাইন রাজ্য প্রতিষ্টা করতে চায় আরাকান আর্মি। তাদের দখলের পথে কাচিন রাজ্য। যেটি চীন সীমান্তবর্তী এলাকায়। বহু বছর পর সেনাদের আধিপত্য শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র জুন্টা সরকারের আয়ত্তে রয়েছে এক চতুর্থাংশ অঞ্চল। আরাকান আর্মিরা মায়ানমারের কতটা অংশ এখনও পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে? পাশাপাশি কীভাবে ক্ষমতা ছাড়ার কৌশল হাতে নিলেন সেনাপ্রধান? আজ আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে।
বিবিসি সূত্রে খবর, মায়ানমারের এক চতুর্থাংশ ছাড়া বাকিটি আরাকানদের দখলে। অর্থাৎ জুন্টা সরকারের হাতে মাত্র এক চতুর্থাংশ অঞ্চল। তবে এখনও পর্যন্ত দেশটির প্রথান শহরগুলির নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই রয়েছে বলে খবর। তবে তা অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। এদিকে স্বাধীনভাবে রাখাইন রাজ্য প্রতিষ্টায় দ্রুত এগিয়ে চলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। জুন্টা বাহিনীর হাতে শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র থাকা সত্বেও তাদের একের পর এক অঞ্চল হাতছাড়া হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যের আন শহরের ৩০টির বেশি সেনাঘাঁটির দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরাকান আর্মিদের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা জানায়, জুন্টা সরকারের ওয়েস্টার্ন মিলিটারি কমান্ডের অল্প সংখ্যক সদস্য তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এখও পর্যন্ত। এমনকি তাদের সরকারের তরফে ছোড়া গোলা বর্ষণে আহত হচ্ছে তাদের সেনারা। এমনকি তারা একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। দেখা যায়, ওয়েস্টার্ন মিলিটারি কমান্ডের সদর দফতর ভবন আশপাশের এলাকায় বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। এমনকি জুন্টা বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণও করতে দেখা যায়।
কিছুদিন আগেই আরাকান আর্মি আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে ভিডিওতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মূল যে চট্টগ্রাম বন্দর অঞ্চল, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে লাগোয়া, তারও পূর্বে বেশ খানিকটা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে, সেগুলি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে পড়ে। সেখানে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মায়ানমার আর্মি থেকে যুদ্ধাস্ত্র জোগাচ্ছে আরাকান আর্মি। ফলে দিনে দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এটি বুঝেও গিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এই কারণে একদিকে প্রবল চাপে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। অন্যদিকে মায়ানমারের জুন্টা সরকার।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। জুন্টা বাহিনীর সদস্যরাই এবার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। গোপনে কাজ করছে তারা। যদিও এটি সত্যি হয় তবে এটা অত্যন্ত উদ্বোজনক একটি খবর।
অন্যদিকে, দখলের পথে চীন সীমান্তবর্তী কাচিন রাজ্য। এর রাজ্যের একের পর এক শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে জুন্টা বাহিনী। এমনকি, ৩০ বছর পর কারেন রাজ্যে বিদ্রোহীদের আধিপত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কাচিন, রাখাইন, কারেনে দ্রুত নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দিনে দিনে তারা শক্তিশালী হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করছে, মায়নমারের সরকার পতনের শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশকে।
পারদ নামল অনেকটাই। কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বলা যায় চলতি শীতের মরশুমের আজ দ্বিতীয় শীতলতম দিন। এর আগে একবার ডিসেম্বরে ...
Read more
Discussion about this post