বাংলাদেশ বহু ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারত বাংলাদেশের ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী’। তাই, এমন কিছুই করা হবে না, যেটা ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের পরিপন্থী। বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতা এবং ক্রমশ বেড়ে চলা ভারত বিরোধিতার আবহেই একথা বললেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বাংলাদেশি সংবাদপত্র প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামান বলেন, ভারত অবশ্যই বাংলাদেশে স্থিরতা আসার বিষয়ে আগ্রহী। এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, তা অবশ্যই ‘ন্যায্যভাবে রক্ষিত হওয়া দরকার’। প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।বাংলাদেশের সেই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ করা হয়েছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ভারত সম্পর্কে বলেছেন, ‘ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিবেশী। আমরা বহু ক্ষেত্রেই ভারতের উপর নির্ভরশীল। আবার ভারতও আমাদের মাধ্যমে উপকৃত হয়। তাদের বহু নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন স্বীকৃতভাবে এবং অস্বীকৃতভাবে। এখান থেকে বহু মানুষ ভারতে চিকিৎসা করাতে যান।’ জামান এই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমরা ওদের কাছ থেকে অনেক পণ্য কিনি। তাই, বাংলাদেশে যাতে স্থিরতা ফেরে, সেটা ভারত অবশ্যই চাইবে। এটা আসলে একটা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। এটা অবশ্যই ন্যায্যভাবে পালন করা উচিত। যদি কোনও দেশ, অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে উপকৃত হতে চায়, তাতে কোনও সমস্য়া নেই।’ এই প্রেক্ষিতেই জামানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয়। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভারতের কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্বে রাজ্যগুলির নিরাপত্তা নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সহযোগিতা কেমন হবে? যার উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘তার প্রতিবেশীর সঙ্গে এমন কিছুই করবে না, যা তার কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী’। এরই পাশাপাশি জামান বলেন, ‘একইসঙ্গে, আমরাও এটা আশা করি যে আমাদের প্রতিবেশী এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না, যা আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী। আমরা যদি তাদের স্বার্থ রক্ষা করে চলি, তাহলে তাদেরও সমান গুরুত্ব সহকারে আমাদের স্বার্থরক্ষা করতে হবে।’ ঘটনা হল, শেখ হাসিনার আমলে সেই সমস্ত ভারত-বিরোধী শক্তি, যারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে অশান্তি ছড়ানোর জন্য বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রবল দমননীতি গ্রহণ করেছিল তৎকালীন সরকার। কিন্তু, পূর্বের ইতিহাস বলছে, আগের সরকারগুলির আমলে ঢাকার গুপ্তচর বিভাগ এই মদত দিয়েছে।
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার পতন যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কোনও বিষয় না, এটা এখন দিনের আলোর মতোই পরিস্কার। এই পুরো...
Read more
Discussion about this post