বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার সুর চরমে। এবার কলকাতা দখলের ডাক উঠল ঢাকার এক মিছিল থেকে। চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব বলে হুংকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা। ভারত বিরোধী মিছিল থেকে ওই দাবি করা হয়। ওই প্রাক্তন সেনাকর্তা মিছিল থেকে বলেন, ৪ দিনের মধ্যে আমরা কলকাতা দখল করে নেব। আমাদের সামরিকবাহিনী ছাত্র-জনতা একসঙ্গে আছি। আমাদের র্যাবের ৫ হাজার সদস্যের মধ্যে অর্ধেকই নবীন। এদের মধ্যে আড়াই হাজার যুদ্ধের ময়দানে যেতে পারি। এর সঙ্গে ৩০ লাখ ছাত্র জনতা যদি যোগ হয় তাহলে ভারত তো দূরের কথা আমেরিকাও আমাদের সামনে টিকবে না। বিভিন্ন ইস্যুতে ইউনূস করকারের উপরে ক্ষোভ বাড়ছে বাংলাদেশিদের। তার উপরে দেশের সংখ্য়ালঘুদের উপরে নির্যাতন, প্রাক্তন ইস্কন সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার সহ একাধিক বিষয় নিয়ে নাজেহাল বাংলাদেশ সরকার। এরকম এক পরিস্থিতিতে ভারত বিদ্বেষ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বাংলাদেশিদের। রাজধানী ঢাকার রাওয়া কমপ্লেক্সের নীচে গতকাল একটি সমাবেশ করেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্যরা। সেই মিছিল থেকেই ওই অদ্ভূত মন্তব্য করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলির শিরোনামে উঠে আসছে অন্য কথা। ভারতীয় গণমাধ্যমের শিরোনামে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে লেখা হচ্ছে আগে নিজেদের দেশ সামলাখ তারপর ভারত দখল করবে। কেন এমন মন্তব্য করছে ভারত? তাহলে কি বাংলাদেশ সীমানায় নজর রয়েছে ভারতের? উল্লেখ্য, জলঙ্গি, রানিনগর থেকে ভগবানগোলা- মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অনেক জায়গাতেই নেই কোনও কাঁটাতারের বেড়া। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই এলাকা দিয়ে অনেক অনুপ্রবেশ ঘটেছে ভারতে। আর এখানেই আশঙ্কা, এদের মধ্যে জঙ্গিরাও এদেশে ঢুকে পড়েনি তো? এখনও পর্যন্ত আনসারুল্লা বাংলা টিমের একাধিক ধৃত জঙ্গির মুর্শিদাবাদ কানেকশন বেরনোয় উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ যখন ভারতের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধের জিগির তুলে চলেছে। তখনই এরাজ্য় থেকে পর পর গ্রেফতার হচ্ছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি। আর এখনও অবধি, এই জঙ্গিদের সঙ্গে বারবার যোগ মিলেছে যে জেলার, তার নাম মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয়েছে আনসার-উল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস। কেরল থেকে ধৃত জঙ্গি শাদ রাডিও ১০ বছর ধরে মুর্শিদাবাদেই ঘাঁটি গেড়ে ছিল। আর অসম থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি নুর ইসলাম মণ্ডল মুর্শিদাবাদে এসেছিল গোপন বৈঠক করতে। এই তথ্য়ই গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে, বার বার মুর্শিদাবাদ কেন? ধৃত জঙ্গিদের এতজনের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের যোগ কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ কাঁটাতারহীন সীমান্ত।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার খবর সামনে আসছে, সেই সময়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকার বিষয়টি চোখে পড়ছে। মুর্শিদাবাদের বামনাবাদ সীমান্তের এমনই পরিস্থিতি। অনেকে বলছেন, ঘন কুয়াশায় বেআইনি অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে। আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও। এদিকে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়াতে পেট্রাপোল সীমান্তের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫০টি সিসি ক্যামেরা বসল। বাণিজ্যের কারণে রোজ শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক আসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এই পঞ্চায়েতের ভিতরের রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। সীমান্ত দিয়ে দৈনিক অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গোটা এলাকা জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যশোর রোড ছাড়াও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসেছে। বাজার স্কুলের সামনেও ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
পারদ নামল অনেকটাই। কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বলা যায় চলতি শীতের মরশুমের আজ দ্বিতীয় শীতলতম দিন। এর আগে একবার ডিসেম্বরে ...
Read more
Discussion about this post