নবমীর দিন নির্যাতিতার বাবা-মা’র সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে তাঁদের বাড়িতে হাজির হন চৈতি ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, ঊষসী চক্রবর্তীরা। এক সংবাদমাধ্যমকে দেবলীনা জানান, ‘মেয়েকে হারিয়েও ওঁরা কত শক্ত! ওঁদের ওই সাহসটাই আনতে যাচ্ছি’। ঊষসীর কথায়, পুজোর একটা দিন অন্যরকম উদযাপনে নির্যাতিতার বাড়ি যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তাঁরা, সেই থেকেই বেছে নিয়েছেন নবমীর দিনটা। নির্যাতনে মৃতা তরুণী আচমকাই বাড়িতে পুজো শুরু করেছিলেন। তিনি পুজোর জোগাড় একা হাতে সামলাতেন। তাঁর মায়ের দায়িত্বে ভোগ রান্না। এ ভাবেই প্রতি পুজো পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দ করে কাটিয়ে দিতেন তিনি। তার ফাঁকে রোগীদের ফোন আসত। তিনি সাড়া দিতেন। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া অঘটনে তিনি আজ শুধুই ‘স্মৃতি’! মেয়ের সেই স্মৃতি আঁকড়ে মা-বাবা ধর্না মঞ্চে যাচ্ছেন। যাঁরাই তাঁদের সমর্থন জানাচ্ছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলছেন না। এদিন সেখানে গিয়েছিলেন দেবলীনা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্না সামলাতে পারেননি অভিনেত্রী। বার বার বলেন, ”ওঁদের কষ্ট দেখা যাচ্ছে না। এর শেষ দেখতেই হবে। আপনাদের সকলের কাছে আবেদন, এই লড়াই ছাড়বেন না। আরেকটা এমন ঘটনা যেন না ঘটে। কে কী করছে বা করবে, জানি না। এটুকু জানি, আমরা এর শেষ দেখেই ছাড়ব। কে বলতে পারে, একদিন আমার নিজের ঘরেও এমনটা হবে। নিজেদের ঘরে আগুন লাগা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তো হবে না। যেভাবেই হোক, এর অন্তিম পর্যায় দেখতে হবে।” দেবলীনা আরো জানান, তাঁরা এখনও শুধু মৃত্যুর দিনটার কথাই বলছেন। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ দিয়ে হাসপাতাল থেকে তাঁদের তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানোর পর কেন ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন কন্যাহারা পিতা-মাতা। আর সেই যন্ত্রণা সীমাহীন। শুক্রবার বিকেলে সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলও।
আর জি কর আন্দোলনের আগুন যখন প্রায় নিবে গিয়েছে, তখন চাকরি বাতিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের...
Read more
Discussion about this post