ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাংলাকে ইচ্ছে করে ডোবানোর চেষ্টা করছে ডিভিসি আর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও কোনও পদক্ষেপ করছে না। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রে তরফে পাল্টা জাননো হয়েছে, রাজ্যকে না জানিয়ে জলই ছাড়েনি ডিভিসি। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ডিভিসি জল ছাড়ার আগে সমস্ত নিয়ম মেনে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। ডিভিসিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁর মারফত সব তথ্য আগেই দেওয়া হয়েছিল। তারপরই জল ছাড়া হয়েছে। আর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে সময় বুঝে যে জল ছাড়তে হবেই, তাও জানে রাজ্য সকার। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে এমন অভিযোগ ঠিক নয়। গত কয়েকদিনে রাজ্যের বন্যা দুর্গত এলাকায় পরিদর্শনে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার অবস্থা দেখে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, এটা ‘ম্যান মেড বন্যা’, ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাকে ডোবানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে মমতার নিশানায় রয়েছে ডিভিসি। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় গিয়ে মমতা সাফ জানিয়েছিলেন, আগামিদিনে তিনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন কিনা ভাববেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে কোনও উত্তর আসার আগেই কেন্দ্রই সরকার তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাংলাকে ডোবানোর চেষ্টার যে অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন তাও নস্যাৎ করেছে ডিভিসি। এজন্য ঝাড়খণ্ড সরকারের তেনুঘাট বাঁধকে দায়ী করে ডিভিসির দাবি, ঝাড়খণ্ডের জলাধার থেকে যে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে তার সঙ্গে ডিভিসির যোগ নেই। সেটি ঝাড়খণ্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন।
ভারতে রপ্তানি না করার সিদ্ধান্তের পর সামাজিক মাধ্যমে ইলিশের দাম কমার তথ্য দেখে সম্প্রতি মাছ বাজারে গিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।...
Read more
Discussion about this post