ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে যে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন, তা বাংলাদেশ সরকার ভালোভাবে দেখছে না বলে দিল্লিকে জানিয়েছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পর যেসব রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন, তা বাংলাদেশ ভালো চোখে দেখছে না বলে নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে ঢাকা। দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের নিরিখে তার এসব বন্ধ রাখা জরুরি। শেখ হাসিনাকে এ ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি দেয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।তবে ভারত থেকে কোনো উত্তর পায়নি বাংলাদেশ। ভারতীয় ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কি না, জানতে চাইলে জনকূটনীতি বিভাগের এ মহাপরিচালক বলেন, ভিসার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তারা বলছে, জনবল সংকটের জন্য ভিসা সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে আমরা তাদের বলেছি, তৃতীয় দেশের ভিসার জন্য ডাবল এন্ট্রি ভিসা ও জরুরি মেডিকেল ভিসা দেওয়ার জন্য তারা যেন চেষ্টা করে। এ ছাড়া রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও ফিনল্যান্ডের ভিসা আবেদন সহজ করার জন্য ভারতীয় দূতাবাসকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর কতজন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ভারতে অবস্থান করছেন-সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বলেও জানান তিনি। এদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ জানতে চাইলে তৌফিক হাসান জানান, আসলে এই বিষয়টা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এখানে যদি কনসার্ন মিনিস্ট্রি বা অফিস থেকে আমাদের জানানো হয়, আমাদের কিন্তু অফিশিয়ালি সেভাবে জানানো হয়নি। সে রকম যদি আমরা নির্দেশনা পাই আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবো।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post