সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত। রোজই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশালের মতো বড় শহরগুলিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের প্রতিবাদে জনমত তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবার সেই আবহেই আমেরিকায় বিক্ষোভের মুখে মোহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনূস যে হোটেলে পৌঁছেছিলেন তার বাইরে বাংলাদেশি নাগরিকরা জড়ো হয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ইউনূসের বিরুদ্ধে “গো ব্যাক” স্লোগান দেন। পাশাপাশি, তাঁর উদ্দেশ্যে কালো পতাকাও দেখানো হয়। আন্দোলনকারীরা বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে নেই। এছাড়াও, ওই দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভালো নয় বলেও দাবি করেন তাঁরা। স্থানীয় বাংলাদেশিরা পোস্টার, ব্যানার হাতে হোটেলের বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান তোলেন, ‘ইউনুসের দুই গালে, জুতো মারো তালে তালে’, ইউনুসের চামড়া, তুলে নেব আমরা’। এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আরো একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। কেন? মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করলেন ইউনূস। বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা অফিসের বিবৃতি অনুযায়ী, দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক সফল। বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন করবেন, ইউনূসকে এমনই আশ্বাস দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের কথায়, ‘ছাত্ররা যদি দেশের জন্য নিজেদের জীবনও দিয়ে দিতে পারেন, তাহলে তাঁরা দেশ গড়তেও পারেন। ছাত্রদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে এবার এগোতে হবে।’ রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইউনূস অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও আলাদা করে দেখা করেন। বিশ্বব্যাঙ্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ও এরপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি-সংবলিত ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উপহার হিসেবে দেন।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে এসেছেন ডঃ খলিলুর রহমান। গত বছর ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের তদারকি সরকারের ক্ষমতা দখলের...
Read more
Discussion about this post