হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। যার ছাপ এসে পড়েছে ভারতবর্ষেও। সঙ্গে চিরাচরিত পড়শি দেশের মানুষদের ‘ভারত-বিদ্বেষী’ কথাবার্তা তো আছেই। ফলে বেশ উত্তপ্ত আপাতত দুই দেশের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক। ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানি স্লট বুকিং চালু হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে পেঁয়াজ ও আলুবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২০ ট্রাক পেঁয়াজ এবং ২০ ট্রাকের মতো আলু আমদানি করা হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ভারতের অভ্যন্তরে স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন দিন ধরে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি বন্ধ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী। তিনি জানান, স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় পেঁয়াজ, আলু রপ্তানি করতে পারেননি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এ কারণে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের শিকার হন। ফলে তারা সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছিলেন। এখানেই জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগে ঢাকার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তানি পণ্য মাত্রই প্যাকেট খুলে পরীক্ষা করার যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করা হল। কোনও পণ্য নিয়ে সন্দেহ বা গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকলে তবেই চেক করা হবে। এই নিয়ম চালু করেছিলেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এমন কঠোর শর্ত চাপান পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে। ভারতসহ অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে আমদানি করা পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করা। সব প্যাকেট খুলে দেখা হয় না। এখন সেই শর্ত বাংলাদেশে প্রত্যাহার করায় ভারত কেন চিন্তিত? নয়া দিল্লির আশঙ্কা, শর্তবিহীন বাণিজ্যের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশে অস্ত্র-সহ অবৈধ পণ্য পাঠানোর সুযোগ পেয়ে গেল। বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় প্রকাশ্যে ভারত এই ব্যাপারে মুখ খুলছে না। কিন্তু ২০০১-এর অভিজ্ঞতা থেকে নয়া দিল্লির কর্তারা চিন্তিত। এবার এই আবহেই, বেশ কিছু খাদ্য-পণ্য বিদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার জারি করেছে ভারত। বিনা কারণে এই পাঁচটি দেশকে ফায়দা তুলতে দিচ্ছে না ভারত। ভারত একটি কৃষি উর্বর দেশ। তবে এর মধ্যেও এমন কিছু সবজি বা শস্য রয়েছে যা ভারতে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। তাই ভারতকে বাধ্য হয়েই বাইরে দেশ থেকে এই খাদ্যশস্য গুলি ভারতে রপ্তানি করতে হয়। এই বিষয়ে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিতে নিয়েছে ভারত। পাঁচটি দেশ থেকে শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি। এর পেছনে বিস্তর কারণ রয়েছে। কারণ বেশ কয়েক দশক ধরে বাইরে থেকে আসা বেশ কিছু পচনশীল খাদ্যদ্রব্য ভারতে আসছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে শস্য খাদ্য পণ্যগুলি বাইরে থেকে আসছে তা যথেষ্ট নিম্নমানের। বেশ কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে সেই সব নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী ভারতে পাঠাচ্ছে এই দেশগুলি। তা আটকাতে এবার চীন, জাপান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, টার্কি থেকে আসা খাদ্য পণ্যগুলোর বড় অংশকে বাতিল করেছে। তাতে ভারতীয় অর্থনীতিতে বিস্তার প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে একাংশ।
গত বছর জুন জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবতম সংস্করণ জাতীয় নাগরিক পার্টি। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূসের ছত্রছায়ায়...
Read more
Discussion about this post