জ্বলছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। কার্যত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হিন্দুরা। স্বাভাবিকভাবেই সীমানায় চাপ বাড়ছে। অনুপ্রবেশের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই আবহে এবার মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তেও চরম উত্তেজনা। বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস দাবি তুলেছিল, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হবে। তবে চলতি অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর মুখ খোলার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আজ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুরবস্থা নিয়ে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়টি এখনও উদ্বেগে রেখেছে। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টির মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি, অন্য প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেশী কূটনীতি নিয়েও ভারতের বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। অন্য দিকে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, বিদেশ সচিবের সফরের পর ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। বাংলাদেশের মঙ্গডাও এলাকায় মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৭১ কিমি এলাকা দখলের দাবি করা হয়েছে। আগেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একাংশ দখল করেছে আরকান সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এবার বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি। মায়ানমারের রাখিন সম্প্রদায়ের সামরিক বিভাগ হচ্ছে আরাকান আর্মি। ২০০৯ সালে যার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাক্তন ছাত্র-সমাজকর্মী তোয়ান ব়্যাট নেইঙ্গ। জেড খনিতে কর্মরতদের থেকে প্রথম দফায় যোদ্ধা নিয়োগ করে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই সেনা উত্তর মায়ানমারের কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির কাছে আশ্রয় চায়। ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন রাখিন প্রদেশের চারটি থানায় হামলা চালায় এএ। এরপরই জঙ্গিদের নিকেশ করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন আং স্যান সু কি। যদিও পরে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। একই অবস্থা সেন্ট মার্টিনেও। সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে কেন্দ্র করে এই ধরনের ঘটনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে দুটি কারণে। এর একটি হচ্ছে আরাকান রাজ্যে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ক্রমাগত সাফল্য। অন্যটি হচ্ছে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিষয়ে প্রাক্তন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদের কথাবার্তা।গত কয়েক মাসে বিদ্রোহীরা আরাকান রাজ্যের এক বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে এবং তাদের এ সাফল্য অব্যাহত থাকলে তারা অচিরেই রাজ্যের রাজধানী সিত্তে নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হবে বলে মনে হচ্ছে। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে তাদের নিশ্চিত করা দরকার যে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যেন অগ্রসর হতে না পারে। আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে নেওয়া পদক্ষেপ থেকে অনুমান করা যায়, তারা রোহিঙ্গাদের তাদের সমর্থক বলে মনে করছে না। তারা চাইছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নাফ নদী অতিক্রম করে আরাকানে প্রবেশ করে যেন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়। ফলে নাফ নদীতে চলাচলকারী যেকোনো ধরনের নৌযানের ওপর তারা বিভিন্ন রকম হামলা চালিয়ে তাদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। অন্যদিকে মায়ানমার নৌবাহিনী নাফ নদীতে একই সঙ্গে আরকান আর্মির উপস্থিতি এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য প্রবেশ দুটিই সম্ভবত মোকাবিলা করতে চাইছে।
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্তের দেশ মিয়ানমার। যেখানে এখন চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ। একদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অন্যদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমন মোট ৮টি...
Read more
Discussion about this post