আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ, এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে শিউরে উঠেছে বিশ্ব। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই এই দুর্ঘটনা কে কেন্দ্র করে সামনে আসছে একের পর এক অলৌকিক ঘটনা। প্রথমে বিমানে উপস্থিত ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে অবিশ্বাস্যভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজন যাত্রী। সেই খবর যেমন চমকে দিয়েছে গোটা দেশবাসীকে তেমনই এবার এই বিমান দুর্ঘটনার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হল শ্রীমদ্ভাগবত গীতা। ভয়াবহ বিস্ফোরণে চারিদিকে যখন ছাই, পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র ও যাত্রীদের ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ তখন ওই ধ্বংসস্তূপে দেখা গেল অক্ষত গীতা। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই এটিকে অলৌকিক শক্তি বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার এই গীতা, মানুষকে অবাক করে দিয়েছে বিস্মিত করে দিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ভগবত গীতার অক্ষত পৃষ্ঠাগুলি একেবারে সতেজ রয়েছে। যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই, এটা কি ভাবে সম্ভব! এখন এই একটাই জল্পনা সকলের। এই বিস্ফোরণ ে বিমানযাত্রীর সহ তাদের সমস্ত জিনিসপত্র এবং বিমানটিও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুর সঙ্গে শ্রীমদ্ভাগবত গীতার বইটাও পুড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু অলৌকিকভাবে সেটি রক্ষা পায়। অর্থাৎ পুড়ে যাওয়া বিমানে বিভিন্ন অংশ, যাত্রীদের ব্যাগ সহ অগ্নিদগ্ধ দেহাবশেষের মাঝে একটিমাত্র বইয়ের অক্ষতঅবস্থায় টিকে থাকা এই ঘটনাকে ঐশ্বরিক কৃপা বলে ই মনে করছেন অনেকে। এমনকি ঘটনা জন্ম দিয়েছে একাধিক চর্চার।
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার এআই-১৭১ দুর্ঘটনায় আহমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে জীবিত একমাত্র বিশ্বাস কুমার রমেশ। গুরুতর যখন অবস্থায় থাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে, আর সে যাত্রী ইতিমধ্যেই বিমানের এই দুর্ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। কি জানাচ্ছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ শুনুন,,
বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। তাঁর এই প্রাণরক্ষা অলৌকিক বলে মনে করছে গোটা বিশ্ব। তার প্রাণ রক্ষা নিয়ে আহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছে রমেশ এর ব্যাখ্যা, তীব্র ঝাঁকুনিতে তাঁর আসনটি খুলে বেরিয়ে এসেছিল। সেই কারণে হয়তো তিনি জীবন বাঁচাতে পেরেছেন। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে তার ব্যাখ্যা, রমেশ যে দিকে পড়েছিলেন, সেদিকে হস্টেলের একতলার ফাঁকা জায়গা ছিল কিছুটা। সেখান দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে সে।
উল্লেখ্য, বিশ্বাস কুমার রমেশ ওই বিমানের ১১-এ আসনের যাত্রী ছিলেন। কিন্তু১১এ উইন্ডো সিট হলেও এর পাশে আদতে কোনও জানলা থাকে না। আর সে কারণে যাত্রীরা মোটেও পছন্দ করেন না আসনটি। কিন্তু এই ১১এ আসন টিই হয়তো অলৌকিকভাবে প্রাণ রক্ষা করলো বিশ্বাস কুমার রমেশের।
Discussion about this post