গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। বারাণসীর একটি হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি। বারাণসীর একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন পঙ্কজ দত্ত। তাঁর নাক-মুখ দিয়ে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। তাঁর অসুস্থতার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।পঙ্কজ দত্তের অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন,”রিটায়ার্ড আই. জি, ৭৩ বছর বয়সি অতি পরিচিত প্রতিবাদী মুখ, বিশিষ্ট ভদ্রলোক শ্রী পঙ্কজ দত্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে অচেতন অবস্থায় বেনারসের একটি হাসপাতালে বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একটি মিথ্যা ও ভুল মামলায় তাকে সম্প্রতি ফাঁসানো হয় কারণ তিনি প্রতিবাদী। আর এই রাজ্যে প্রতিবাদীদের সাথে কি ধরণের আচরণ করা হয় তা রাজ্যের মানুষ জানেন। মামলার কারণে তিনি কলকাতার বড়তলা থানায় গেলে তাকে অনর্থক পুলিশের হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি যে একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এবং দীর্ঘদিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেছেন সেটিও বর্তমানে রাজ্যের দলদাস প্রশাসন ভুলে গিয়েছে। পঙ্কজ বাবুকে শুধু হেনস্থাই নয় স্থানীয়দের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের বিক্ষোভের মুখে তাঁকে ঠেলে দেওয়া হয়, তাঁকে জুতোর মালা পর্যন্ত পরানোর চেষ্টা হয়। দীর্ঘ ছ ঘন্টার ওপর তাঁকে চুড়ান্ত অপমান ও হেনস্থা করা হয়, শুধু তাই নয় তাঁকে একটু জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি এবং তার তাঁর আইনজীবীদেরও অপমান করতে ছাড়া হয়নি। এই অসম্মান তিনি মেনে নিতে পারেননি এবং দুদিন আগে তিনি তার আত্মীয়ের কাছে বেনারসে যান এবং সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান। বর্তমানে বেনারসের একটি হাসপাতালে উনি চিকিৎসাধীন এবং চেষ্টা করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স-এ করে যাতে ওনাকে দ্রুত কলকাতায় আনা সম্ভব হয়। পরম করুনাময় ঈশ্বরের কাছে আমি প্রার্থনা করি সম্মানীয় পঙ্কজ বাবু দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরুন। একই সাথে কলকাতার বড়তলা থানার এই ধরনের ঘৃণ্য আচরণের আমি তীব্র নিন্দা করছি।” এর পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। লিখেছেন, “পঙ্কজ দত্তর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার করছে কোনো কোনো মহল। পঙ্কজবাবু এই বয়সে কার্যত রোজ টিভি চ্যানেলে উত্তেজিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্দিষ্ট লাইনে চিৎকার করেন; সেমিনারেও তাই, এসব থেকেই অসুস্থতা। যারা ওকে দিয়ে রোজ চিৎকার করায়, তারা দায়ী। পঙ্কজবাবু একটি এলাকার মহিলাদের নিয়ে কুৎসিত কথা বলেছিলেন। তাই পুলিশি ব্যবস্থা হয়েছে। আর পুলিশ ডাকার জন্য যদি উনি অসুস্থ হন, তাহলে এতদিন পুলিশকর্তা ছিলেন কী করতে? তাহলে তাপস পাল, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আমেদের মৃত্যুর জন্য সিবিআই দায়ী, তাই তো দাঁড়ায়, নাকি?”
বই প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। ২৮ বছর পর কলকাতা বইমেলায় নাও থাকতে পারে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবার। কারণ...
Read more
Discussion about this post