ভবিষ্যতে বাংলাদেশেই তৈরি হবে হেলিকপ্টার, বিমান। প্রথমে মেরামত কারখানা এবং পরে তা সম্প্রসারণ করে নির্মাণের সক্ষমতা তৈরি করা হবে। আর আকাশযান মেরামত ও তৈরির কারখানা স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাট জেলাকে। জেলার পরিত্যক্ত এয়ার স্ট্রিপে প্রথমে অ্যারোনেটিক্যাল সেন্টার স্থাপন করে প্রাথমিকভাবে বিমান ও হেলিকপ্টারগুলো মেরামত ও ওভারহোলিংয়ের কাজ করা হবে, পরে সেখানে এসব আকাশযান তৈরিও করা হবে। প্রকল্পটি কেবল পরিকল্পনার মধ্যে আটকে নেই। এরই মধ্যে বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্দেশ দিয়েছেন প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা জমা দেয়ার। এই সেন্টারটি তৈরি হলে বাংলাদেশ তার নিজের আকাশযান মেরাতমের পাশাপাশি ভুটান, নেপাল এমনকি ভারতেরগুলোও মেরামত করতে পারবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরও একটি পথ খুলবে। যে এলাকায় এটি হবে, সেখানে ব্রিটিশ আমলেই নির্মিত হয় বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্রিটিশ রাজ তথা ভারতের প্রতিরক্ষায় এই বিমানবন্দরটির ভূমিকা ছিল। কিন্তু ১৯৪৫ সালের ১৪ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা দেশে ফিরতে শুরু করে। সাথে সাথে নিস্তব্ধতায় ঢুবে যেতে থাকে বিমান ঘাঁটিটি। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর থেকে এক হাজার ১৬৬.৬৮ একরের এলাকাটি বিমান বাহিনীর কৃষি ফার্মে পরিণত হয়। ১৯৫৮ সালে স্বল্প পরিসরে পুনরায় বিমান সার্ভিস চালু করা হয়। সে সময় লালমনিরহাট-ঢাকা ভাড়া ছিল ৪৫ টাকা। কিন্তু লাভজনক হতে না পারায় বিমান সেবা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় বোমা হামলার পর পাকিস্তান সরকার বিমান ঘাঁটির স্থাপনাগুলো বিক্রি করে দেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে লালমনিরহাট বিমান ঘাঁটিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদরদপ্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে চার কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক, হ্যাংগার, ট্যাক্সিওয়েগুলো পরিত্যাক্ত। পরে ১৯৮৩ সালে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ এখানে কৃষি প্রকল্প গ্রহণ। এখন লালমনিরহাট মিলিটারি ফার্মের তত্ত্বাবধায়নে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার এবং সংরক্ষিত ভূমিগুলিতে চলছে কৃষি কাজ। ২০১১ সালের ১৯ মে ভূটানের যোগাযোগ মন্ত্রী এইচ ই লিয়নব পো নন্দলাল রাজ রায়ের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটিটি পরিদর্শন করে। সে সময় ভূটান-বাংলাদেশ ট্রানজিটের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর করতে আগ্রহ প্রকাশ কওে দেশটি। ফলে ভূটান ও বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বিমান বন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে লালমনিরহাট বিমান ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও হিন্দু নির্যাতনের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তারমধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তারমধ্যে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনুস সরকারের। সম্প্রতি দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সেনা সদস্যরা দেশের ক্রান্তিকালে দিনরাত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সামনে ডিফিকাল্ট সময় পার করে দেশ ও জাতিকে নিরাপদ জায়গায় আমরা নিয়ে যেতে চাই। সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতি এই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। দিনরাত সেনা সদস্যরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন কাজে আমরা নিয়োজিত আছি। ইউএন মিশনে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণেও কাজ করছি এবং আমরা পারদর্শিতা অর্জন করেছি। আমরা যেন দেশ ও জাতিকে একটা ভালো জায়গায় এবং নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, সে জন্য আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি বা বিএমজেপি। যার পতাকার রং ও নকশা অবিকল...
Read more
Discussion about this post