সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগে জট কাটাতে চলেছে অবশেষে। সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, তিন মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেইসঙ্গে গোটা প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে, তা বলে দিল সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালতের রায়ে খুশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি। বাংলার উপাচার্য সমস্যার সমাধান সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা এই কমিটিতে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত হলেন কমিটির প্রধান। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পৃথক সাব কমিটি গড়বেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত। প্রত্যেক কমিটিতে থাকবেন ৫ জন। তাঁদের খরচ বহন করবে রাজ্য। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৩ জনের নাম জমা পড়বে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের বা রাজ্যপালের কোনও আপত্তি থাকলে, তাও শুনবে সুপ্রিমকোর্ট। ৪ সপ্তাহ পর মামলার ফের শুনানি। তার আগে সুপ্রিমকোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা করবে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, সার্চ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করাকে কেন্দ্র করে বিবাদ তৈরি হয়েছিল রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে। মমলা গড়ায় আদালতে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কমিটিতে প্রয়োজনে আরও চার বিশেষজ্ঞকে রাখতে পারেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে উপাচার্য পদের জন্য তিনটি করে নাম বাছাই করবে সার্চ কমিটি। সেই তিনটি নাম তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠাবে। মুখ্যমন্ত্রী ওই তিনটি নামের মধ্যে থেকে একটি নাম বাছবেন। সেই নাম তিনি রাজভবনে পাঠাবেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল। আর তিন মাসের মধ্যে এই কাজ করতে হবে।
কি আশ্চর্য সমাপতন! সেই ২০০০ সালে রাজ্যে তখন ভরা বাম শাসন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়...
Read more
Discussion about this post