ভারতে রপ্তানি না করার সিদ্ধান্তের পর সামাজিক মাধ্যমে ইলিশের দাম কমার তথ্য দেখে সম্প্রতি মাছ বাজারে গিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশেরই জিআই পণ্যটির আকাশ ছোঁয়া মূল্য নিয়ে হতাশাও জানাচ্ছেন অনেকে। ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে বাস্তবের মাছের বাজার সবজায়গায় ইলিশের দাম নিয়ে কৌতূহল চোখে পড়ার মত। ক্রেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে মাছ বিক্রেতাদেরও।
সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, ভারতে ইলিশ না পাঠানো ব্যাপারে সরকারের অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাইছি , আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারে না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়।’
রপ্তানি না হওয়ার পরেও বাজারে মাছটির দাম নাগালের মধ্যে নেই বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতারা জানাচ্ছেন , রপ্তানি বন্ধ কিন্তু দাম তো কমেনি, মাঝখান থেকে আমরা বাজারে এসে নাজেহাল হচ্ছি। রপ্তানি না হওয়ার পরেও বাজারে মাছটির দাম নাগালের মধ্যে নেই বলে জানাচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন,জেলের জালে ধরা পড়া ইলিশ তিন থেকে পাঁচ হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে আসে । এসব জায়গায় দামের তারতম্যের ওপর বাজারদরও ওঠানামা করে। চাঁদপুরের আড়তগুলোতে মঙ্গলবার সকালে তিন থেকে চারশো গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার টাকার আশেপাশে।মাছের আকার যত বড় হয়, কেজিপ্রতি দামও তত বৃদ্ধি পায় ।এছাড়া, সমুদ্র-মোহনা থেকে ধরা মাছ আর নদীর উজানের মাছের ক্ষেত্রেও দামে বেশ কিছুটা পার্থক্য থাকে বলেও জানান মাছ বিক্রেতারা।
তবে মূলত বেশ কয়েকটি কারণে দাম কমে না ইলিশের – দেশের ইলিশ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসে মাছ ধরা বন্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এই নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে ।
এরপর মে-জুন থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইলিশ আহরণের মৌসুম। এই সময়টাকে ‘পিক টাইম’ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর এই সময়টায় মাছের দেখা মিলেছে ‘খুবই কম’।
Discussion about this post