বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই মাস থেকে যে অশান্তি ও হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে তা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আমেরিকা। পদ্মাপারের পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ রাখছে ভারত-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে। সেই আবহেই আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শত্রুদের এখন যে কোনও সময় জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ভারত। একদিকে, দেশের মাটিতে অস্ত্র সহ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করছে মোদী সরকার, অন্যদিকে থেমে নেই আমদানিও। ভারতের হাত আরও শক্ত করল রাশিয়া। ভারতের রণসজ্জার কাছে হার মানতে বাধ্য হবে শত্রু-দেশ। হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। এর আগে চট্টগ্রামে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল সেনার বিরুদ্ধে। এদিকে, ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল গোটা বিশ্ব। কঠিন সময়ে দুই দেশ বরাবর একে অপরের পাশে থেকেছে, সমর্থন করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে দিল তারা। সোমবার সেই যুদ্ধজাহাজ তুলে দেওয়া হল ভারতের হাতে। পৃথক ভাবে কাজ করলেও, ‘বন্ধু’ ভারতের জন্য INS Tushil যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থানেই দেখা গেল দুই ‘চিরশত্রু’ দেশ। ২০১৬ সালে INS Tushil এবং আরও একটি যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে রাশিয়াকে বরাত দেয় ভারত। INS Tushil আসলে Krivak 3 শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ, যা আসলে একটি Stealth Missile Frigate, অর্থাৎ এই যুদ্ধজাহাজ শত্রুপক্ষের রেডারে ধরা পড়ে না, একটানা দীর্ঘ ক্ষণ শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করে যেতে পারে। বর্তমানে ভারতের হাতে এমন ছয়টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, যার সবক’টিই রাশিয়ায় তৈরি। ওই দু’টি যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও, ভারতেও এমন যুদ্ধজাহাজ তৈরি হচ্ছে। গোয়ার শিপইয়ার্ডে সেগুলির নির্মাণ হবে। কিন্তু এখানেই আসল তথ্য লুকিয়ে। রাশিয়া ভারতের জন্য ওই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করলেও, যুদ্ধজাহাজটির মূল ইঞ্জিন তৈরি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়া এবং ইউক্রেন, দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই যুদ্ধ চালাকালীনও ওই প্রকল্প থেকে পিছু হটল না দুই দেশের কেউই। এদিকে হোয়াইট হাউসের দৌড়ে নেমেই বাংলাদেশের হুঙ্কার ছেড়েছিলেন ট্রাম্প। অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে তোপ দেগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে এসবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করেছিলেন ট্রাম্প। এবার সাদা-বাড়িতে ফিরতেই তাঁর শরণাপন্ন হলেন সে-দেশে থাকা বাংলাদেশের মানুষরা। বাংলাদেশি আমেরিকান সংখ্যালঘুরা চাইলেন ট্রাম্পের সাহায্য। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ক্রমবর্ধমান নৃশংসতা থেকে উদ্ধার করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাইলেন মার্কিন মুলুকে থাকা বাংলাদেশি হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা। আমেরিকায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন ট্রাম্পের সাহায্য চেয়ে বলেছে, ইউনূস সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যেভাবে ইসলামি মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে সংখ্যালঘুরা অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে।
পারদ নামল অনেকটাই। কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বলা যায় চলতি শীতের মরশুমের আজ দ্বিতীয় শীতলতম দিন। এর আগে একবার ডিসেম্বরে ...
Read more
Discussion about this post