দেশে ফেরার আগে বাংলাদেশ বাসীদের বার্তা মহম্মদ ইউনূসের। এই মুহূর্তে জরুরি দেশের সরকারের প্রতি মানুষের আশা ভরসা ফিরে আসা। বললেন নোবেল জয়ী। এখনও অশান্ত বাংলাদেশ। প্রতিদিন আন্দোলনকারীদের নিত্য নতুন কাণ্ড কারখানা প্রকাশ্যে আসছে। কখন ও সেটা খুব মজার কখনও সেটা খুবই লজ্জার। বলাবাহুল্য দেশে চরম অরাজক পরিস্থিতি। আজ, বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন মহম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন তিনি। তবে দেশে ফেরার আগে দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন ইউনূস। যা এই চরম বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতিতে দারুন ইতিবাচক।
কী বার্তা ইউনূসের
‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি দেশের সরকারের প্রতি মানুষের আশা-ভরসা ফিরে আসা। সেই সঙ্গে দেশে নির্বাচনের নতুন রূপরেখা তৈরি করা। দেশের হাসিনা সরকারের পতনের পর যে শূন্য স্থান হয়েছে তা দ্রুত পূরণ করা।’
এমন অরাজক পরিস্থিতিতে কেন দায়িত্ব নিতে রাজি হলেন মহম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় এসে তাকে যে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।
কী কারণ ব্যাখ্যা করলেন নোবেল জয়ী
‘দেশের মুক্তির স্বার্থে এত পড়ুয়া ত্যাগ স্বীকার করেছে। ক’জনের প্রাণ গিয়েছে! ওদের আমি না বলতে পারব না। কিছু দিনের মধ্যেই আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসব। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে কী ভাবে কাজ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করব। রাজনৈতিক দলগুলি কী ভাবে তাতে অংশগ্রহণ করতে চায়, তা নিয়ে কথা হবে।’
অর্থাৎ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত নোবেলজয়ী ইউনূস। বাংলাদেশের মাটিতে মাইক্রো ফিন্যান্স ব্যাঙ্ক তৈরির জন্য 2006 সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন । বলা হয়ে থাকে দেশের দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষদের আর্থিক উন্নতির পথ দেখিয়ে ছিলেন। তবে এই দাবি মানতে বরাবর নারাজ ছিল হাসিনা সরকার। প্রকাশ্যে বহুবার শেখ হাসিনা কে তাঁর সমালোচনা করতেও দেখা গিয়েছে। ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন ভাঙার ও অভিযোগ আনতে দেখা গিয়েছে হাসিনা সরকারকে। বাংলাদেশের শ্রম আইন ভাঙার অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে অর্থনীতিবিদকে ছ’মাসের জেলের সাজাও শুনিয়েছিল ঢাকার আদালত।
Discussion about this post