আবারও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুরুটা হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে। তারপর গত একশো দিনে লাগাতার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। একটি বাংলাদেশি সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে রিপোর্ট সামনে রেখেছে, সেটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। রঙপুরে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন হিন্দুরা, তারই মাঝে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একাধিক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত সমাবেশ হয় সফলভাবেই। বাংলাদেশি হিন্দুদের সেই সমাবেশের জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। ভারতের একাধিক হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননার অপরাধে এই সিদ্ধান্ত কলকাতার। শুধু তাই নয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এর গ্রেপ্তারির পরে সন্ত্রাস যেন অন্য মাত্রা নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দফায় দফায় বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছে ভারত। নিজস্ব মতামত জানিয়েছে আমেরিকাও।আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের তরফে আবারও বাংলাদেশের মানবাধিকার ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশে আগের সরকারের সময় মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যা ছিল, বর্তমান সরকারের সময়ও সেটাই আছে। বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চরমপন্থার বাড়বাড়ন্ত এবং সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন নিয়ে ফের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। প্রথম দফায় দক্ষিণ এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা লিসা কার্টিস মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ফলে বাংলাদেশ ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে, যা তাদের ভবিষ্যৎকে নিয়ন্ত্রণ করবে’। চরমপন্থী, মৌলবাদী এবং জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনা ‘প্রশংসনীয়’ দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলেও সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন কার্টিস। বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার বাইডেন সরকার এবং ট্রাম্পের মধ্যে গুরুতর মতভেদের বিষয়টি আগেও সামনে এসেছে। শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, বাইডেন প্রশাসনই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এছাড়াও শিরোনামে রয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ। ইন্দো-আমেরিকান গোষ্ঠী বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ঢাকার উপর আর্থিক অবরোধ জারির চাপ সৃষ্টি করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আগামী বছরে ক্ষমতায় বসতে চলা ট্রাম্প প্রশাসন যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেয় তার জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে মার্কিন-ভারতীয় গোষ্ঠী। মার্কিন কংগ্রেসে এজন্য আর্থিক অবরোধ জারি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রস্তাব আনার জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডাক্তার ভরত বরাই এনিয়ে তৎপর হয়েছেন। বরাই সেদেশের ভারতীয়-আমেরিকান গোষ্ঠীর একজন প্রভাবশালী কর্ণধার। তিনিই ভাবী ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন। ভারতীয়-আমেরিকানদের দাবি, বাংলাদেশের উপর নতুন সরকার আর্থিক অবরোধ তৈরি করুক। ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-এর প্রাক্তন কমিশনার জনি মুর বলছেন, আমেরিকার বাইডেন সরকার বাংলাদেশের প্রতি সেভাবে মনোযোগই দেয়নি। এই সময়টা শুধু বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্যই নয়, গোটা দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে এবার এই বিষয়টিতে নজর দেবেন ট্রাম্প। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট কোণঠাসা হচ্ছে বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইউনুস। বাংলাদেশের থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে দেশগুলি। যা মোটে ও ভালো দিকে এগোচ্ছে না বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত। আলু পেয়াজের জামদানি রপ্তানিতে মাথায় হাত পড়ছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করছে ভারত।
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্তের দেশ মিয়ানমার। যেখানে এখন চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ। একদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অন্যদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমন মোট ৮টি...
Read more
Discussion about this post