আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুন মামলায় গ্রেফতার টালা থানার সেই ওসি। সাথে সিবিআই এর কব্জায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও। এর আগে সন্দীপকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এবার এই মামলাতেও শোন অ্যারেস্ট করা হল। শনিবার সিবিআইয়ের তরফে শিয়ালদা আদালতে তোলার জন্য প্রেয়ার দেওয়া হয়। তার পরেই জানা যায় সিবিআইয়ের তরফ থেকে সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু দেরিতে ঘোষণা করেন।
এফআইআর দেরিতে রেজিস্টার করা হয় যাতে ওই ঘটনায় সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করা যায়। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবেই দেরি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যৌন নির্যাতন হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে আত্মহত্যার কথা বলল?” সকাল ১০ টার সময় ঘটনার খবর পাওয়ার পরই কেন সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করা হল না, আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে সিবিআই। সূত্রের দাবি, সকাল ১০টায় দুর্ঘটনার খবর পেলেও টালা থানার ওসি প্রায় ১ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। এ বিষয়টিও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিবিআই।
চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮ ধারায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট , ১৯৯ ধারায় সরকারি কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন না করা এবং ৬১/২ ধারায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডল, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এদিন ধৃতদের ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। জবাব শোনার পর সন্দীপ এবং অভিজিৎকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
Discussion about this post