আজ কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান এএফসি চ্যাম্পিয়নস টু অভিযান শুরু করছে তাজাকাস্থানের রভশান ক্লাবের বিরুদ্ধে। ম্যাকলারেনকে খেলানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মোহনবাগান কোচ। এমনিতেই এসিএল শুরুর মুখে বেশ চাপে রয়েছে মলিনা ।প্রতিপক্ষ এফসি রভশান যেখানে ৭ জন বিদেশি নিয়ে খেলতে নামবে সেখানে মোহনবাগান খেলবে চারজন বিদেশীতে। তার উপর স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন আলবার্তো রডরিগেজ.. এদিন প্র্যাকটিসে আসতে পারলেন না। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ জানালেন, আলবার্তোর মতো ম্যাকলারেনও বুধবারের ম্যাচ অনিশ্চিত। তবে একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমিকে নিয়ে আলাদা করে মোলিনা বলেছেন ,” দিন দিন উন্নতি করছে জিমি। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি ওকে খেলানো হবে কিনা”। প্রয়োজনে শেষ ১০-১৫ মিনিট ম্যাকলারেন কে দেখে নিতে পারেন তিনি ।তবে এখনও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আই এস এল এর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ড্র করতে হয়েছে। পরের ম্যাচের সোমবার ঘরের মাঠে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে। যাদের কাছে ডুরান্ড ফাইনালে হারতে হয়েছে ।
অনেকেই চাইছেন দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকে মাঠে নামুন অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্ট্রাইকার ।তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক আলবার্তো খেলতে না পারলে ডিফেন্স নিয়ে সত্যিই সমস্যায় রয়েছে মোলিনা। যদিও এদিন ম্যাচের সাংবাদিক সম্মেলনে মানতে চাইলেন না ডিফেন্সের সমস্যা। নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার নুনো খুব সম্ভবত কলকাতায় আসবে শুক্রবারের মধ্যে। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার এর মধ্যেও চলে আসতে পারেন । তাতেও আলবার্ট তো আর নুনুকে পরবর্তী সময়ে খেলালে আক্রমণে মাত্র দুজন বিদেশি খেলাতে পারবেন। ফলে আইএসএল এ পরিকল্পনা মত দলকে কিছুতেই খেলাতে পারবেন না মোহনবাগান কোচ। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাতজন বিদেশি কে খেলানোর সুযোগ থাকলেও খেলাতে পারছেন মাত্র চার জনকে । ফলে মলিনা চাইছেন বুধবার ঘরের মাঠে সম্মানজনক ফল নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে ।তবে আই এস এল এর সঙ্গে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স থেকে খেলার কোন পার্থক্য হবে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে মোলিনা বললেন,” আইএসএল খেলি অথবা এএফসি, দল তো একই থাকবে ।তাই খেলার স্টাইল ও এক ই ।যদি দেখা যেত দুটো ভিন্ন প্রতিযোগিতায় আলাদা আলাদা দল খেলানোর সুযোগ আছে , তাহলে বলতাম আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে খেলব”।
Discussion about this post