এবার জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাবেন অনুব্রত। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত রাখা হয়েছে অনুব্রতর জন্য। বার বার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন, গোরু পাচার মামলায় অন্য অভিযুক্তেরা ছাড়া পেলেও কেন তাঁর মক্কেলকে আটকে রাখা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে পাল্টা অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। বলা হয়, জামিন পেলে তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। তবে এখন প্রশ্ন হল, গরু পাচার মামলার অভিযুক্তরা একে একে ছাড়া পাচ্ছেন কীভাবে? চার্জশিট জমা পড়ে যাওয়ার পরও কেন এত দেরী হচ্ছে? অনুব্রতর আইনজীবী শাম্ব নন্দী জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলায় চারটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
কিন্তু গরু পাচার থেকে আর্থিক সুবিধা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে পৌঁছত, এমন কোনও উল্লেখ বা তথ্য-প্রমাণ চার্জশিটে নেই। সেই কারণেই জামিন দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। এছাড়াও বিচার প্রক্রিয়াতেও কেন এত সময় লাগছে? আইনজীবীর বক্তব্য, ভাষার গেরোই বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সেই গেরোয় ফেঁসেই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া একের পর এক অভিযুক্তের জামিন আটকাতে পারছে না ইডি। জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে কয়েকজন গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে তারা অর্ধেকের বেশি বাংলা ভাষা ছাড়া আর কিছু জানে না। ফলে তাদের বয়ানও রেকর্ড করতে হয়েছে বাংলা ভাষাতেই।এখন সেই হাজার হাজার পাতার বয়ান বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে। যে কাজ এখনও শেষ হয়নি এবং যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। ফলে বয়ানের কপি হাতে না থাকার কারণে মূল মামলার ট্রায়াল কোনওভাবেই শুরু করা যাচ্ছে না।
Discussion about this post