বীরভূম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সারা দেশ জুড়ে ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জলাধারের জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে এবং রাজ্যে বৃষ্টির কারণে যে সকল জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি হয়েছে। সেসব জেলায় মুখ্যমন্ত্রী খোদ দিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। সেই মতো আজ বোলপুরে বন্যা কবলিত অঞ্চল নিয়ে এক বিশেষ বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বইটাতে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সব সংসদ, সব বিধায়ক , জেলা পরিষদের সভাপতিরা সহ সব পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ সকল জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতি। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন বীরভূমের যে সকল জায়গায় বন্যা হয়েছিল সেখানে জল কমে গেলেও কাদা এখনো শুকায়নি। তাই যে সমস্ত দফতর রয়েছে তাদের নির্দেশ দিয়েছে যতদিন পর্যন্ত না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন আপৎকালীন সরকারি সাহায্য চলবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন আগামী দু-তিন দিন যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর সেই অনুযায়ী সেদিকে নজর রাখতে হবে।
বিভিন্ন বিধায়কদের বলেছেন এম এল এ ফান্ড থেকে বন্যাকবলিত যে সকল গ্রামাঞ্চলের রাস্তা ভেঙে গেছে সেইসব রাস্তা ঠিক করতে হবে। এবং সংসত্ত্বের বলেছে তাদের তহবিলের টাকা থেকে ১ কোটি টাকা গ্রামীণ রাস্তা মেরামতের কাছে খরচ করবে এবং ৪ কোটি টাকা খরচ করবে যে সকল স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাদবাকি বিষয়গুলি পঞ্চায়েত অফিসে সার্ভে করে তারা দেখে নেবেন। এক পাশাপাশি তিনি এও ঘোষণা করেন চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রায় 11 লক্ষ বাড়ি বাড়ি তৈরির স্কিম যোগ হবে এবং এই ১১ লক্ষের মধ্যে ৬৫ হাজার বাড়ি ইতিমধ্যে মাইনোরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে সর্বহারা নারীদের নামে করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন বিগত তিন বছরে গ্রামীণ আবাসে কোনরকম টাকা দেয়নি কেন্দ্র, এবং কেন্দ্রীয় থেকে রাজ্য এখনো ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা পায়। এবং আবারও ডিভিসিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি বলেন প্রতি বছরই ডিভিসি জল ছাড়ে এবং তিনি বলেন ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা হয় বাংলার বাংলার বৃষ্টিতে বাংলায় বর্ষা হয় না। ১১ লক্ষ বাড়ির মধ্যে বন্যার কারণে যে সকল বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেই বাড়িগুলি লিস্টে নাম আছে কিনা সেটাও দেখে নিতে বলেছে এবং এই সার্ভে বর্ষা শেষ হলেই শুরু করা হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Discussion about this post