৩৬৫ দিনের অপেক্ষা থাকে বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসবের জন্য। এ বছর একই উদ্বেগ ছিল উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠার। পুজোর আগে ও স্বাধীনতা দিবসের আগে ঘটে গেল এক নারকীয় ঘটনা। আর তারপরেই নাগরিক সমাজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন। “সবার গলায় একটাই স্বর জাস্টিস ফর আর জি কর”। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা সবাই উৎসবে ফিরুন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, দোষীরা শাস্তি না পেলে উৎসবে ফিরছি না। অনেক সাধারন মানুষের প্রশ্ন। এই ঘটনার পর কিভাবে উৎসবে ফিরে যাওয়া যায়। ঠিক সেই বার্তার আন্দোলন দেখা গেলো মহালয়ার সকালে। রেডিওর মহালয়া পাঠ ও টিভির মহিষাসুরমর্দিনী কে ছাপিয়ে অন্য আওয়াজ রাস্তায়। পশ্চিমবঙ্গ বাসী এক পৃথক মহালয়ার ভোরের সাক্ষী থাকলো। ৫৪ দিন পরেও রাত দখলের পর মহালয়ার ভর দখল করলেন সাধারণ মানুষ। মহালয়ার সকালে মহিষাসুরমর্দিনী উচ্চারণের বদলে উচ্চারিত হলো “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”, “জাস্টিস ফর আর জি কর”, “বিচার না পেলে উৎসবে ফিরছি না”।
কেবল কলকাতা শহর নয়, কোচবিহার, মেদিনীপুর, উত্তরপাড়া, খরদা, সোদপুর, চাকদা, গোটা রাজ্যেই রাস্তায় সাধারণ মানুষ। তিলোত্তমার বিচার চাই। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে তর্পণ করেন কিছু আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি পুনরায় জুনিয়র ডাক্তাররা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে সাতরাগাছি থেকে নবান্ন অভিযান করছে জুনিয়র ডাক্তার। মহালয়ার মহা মিছিল আটকাতে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় জল কামান। সবচেয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে পিতৃপক্ষের অবসান এবং মাতৃপক্ষের সূচনায়, মাতৃ রক্ষা নিয়ে যেভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছে। উৎসবে কি ফিরছে মানুষ? নাকি সব ভুলে মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফিরুন বার্তায় সাড়া দেবেন সাধারণ মানুষ।
Discussion about this post