দুগ্গাপুজোয় সারারাত ঠাকুর দেখে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যান। অনেকেই মনে করেন এবার বাড়ি ফিরি। কিন্তু শিয়ালদা বা হাওড়ার শহরতলির কোনও স্টেশন থেকে গভীর রাতে ট্রেন পাওয়া যায় না। কারণ মুম্বইয়ের মতো এই যমজ শহরে সারারাত ট্রেন চলে না। তবে এবার দুর্গাপুজোর কটা দিনের জন্য আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। এবার পুজোয় তিনদিন রাতভর ঠাকুর দেখতে পাবেন নিশ্চিন্তে। কারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাতভর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন গভীর রাতে এই স্পেশাল ইএমইউ ট্রেনগুলি চলবে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে। ফলে ঠাকুর দেখতে গিয়ে গভীর রাত হয়ে গেলেও এবার আর কোনও চিন্তা নেই। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল বা তারকেশ্বর হোক বা শিয়ালদা থেকে রানাঘাট বা বনগাঁ হোক। আপনি প্রায় সারা রাতই ট্রেন পাবেন সপ্তমী থেকে নবমীতে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর সপ্তমী থেকে নবমী অর্থাৎ ১০ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব রেল চালাবে বিশেষ লোকাল ট্রেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই ট্রেনগুলির সময়সারণী…
হাওড়া শাখা –
হাওড়া স্টেশন থেকে বর্ধমান মেন শাখার শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু যারা একটু রাতের দিকে কলকাতার দিকে ঠাকুর দেখতে আসবেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে বর্ধমান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রেনটি ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। একই ভাবে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হাওড়ার দিকে রাতের স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১১টায়। অপরদিকে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে দর্শনার্থীদের জন্য পুজো স্পেশাল ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১টায়। সে রকমই তারকেশ্বর থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রাতের শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১টা ১৫ মিটিটে। অপরদিকে, শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের দিকে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে একটি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে।
শিয়ালদা শাখা –
পূর্ব রেল হাওড়ার মতো শিয়ালদা শাখাতেও চালাবে পুজো স্পেশাল ইএমইউ ট্রেন। যেমন, কলকাতার উদ্দেশে যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন তাঁদের কথা মাথায় রেথে রানাঘাট থেকে দুটি বিশেষ লোকাল ট্রেন চালানো হবে। সেগুলি রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং রাত ২টো ৩০ মিনিটে রানাঘাট থেকে ছাড়বে। কল্যাণী সীমান্ত থেকে একটি বিশেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত ২টো ৫০ মিনিটে। একইভাবে যারা মধ্যরাতে কলকাতা থেকে ঠাকুর দর্শন করে ফিরবেন তাঁদের জন্য শিয়ালদা-রানাঘাট শাখায় চলবে কয়েকটি বিশেষ ট্রেন। যেমন শিয়ালদা থেকে রানাঘাটের উদ্দেশ্যে একটি ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে। কল্যাণী সীমান্তের উদ্দেশ্যে রাত ১টা ৩০ মিনিটে। আবার রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে। একইভাবে কৃষ্ণনগর থেকে রানাঘাটের দিকে একটি ট্রেন আসবে রাত ১২টা ১৭ মিনিটে।
শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যাত্রীদের জন্যও চলবে বিশেষ লোকাল ট্রেন। যেমন, বনগাঁ স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেন শিয়ালদার উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। আবার শিয়ালদা থেকে একটি বিশেষ ট্রেন বনগাঁর উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১টা ২০ মিনিটে। একইভাবে ডানকুনি থেকে একটি বিশেষ ট্রেন শিয়ালদার উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। আবার উল্টো দিকে শিয়ালদা থেকে বিশেষ ট্রেনটি ডানকুনির উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে।
Discussion about this post