আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতে ২১৩ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কেই একা দোষী বলে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবারই সেই চার্জশিটের কপি ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এরপর সঞ্জয়কে আদালতে হাজির করালে বিস্ফোরক দাবি করে সে। সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সিবিআই প্রথম চার্জশিট পেশ করার পরদিনই মঙ্গলবার আদালতে সঞ্জয় বলেছে, ‘আমার কিছু বলার আছে। আমায় যদি কথা বলার সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে আমার উপরে সমস্ত দোষ চাপিয়ে দেওয়া হবে। আমি কিছু করিনি। আমি নির্দোষ। আমি এই মামলার বিষয়ে কিছু জানি না।’ তারপর বিচারক বলেন, আপনার বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এখন এভাবে আপনার কথা শোনা যাবে না। জেলে আপনার কাছে আইনজীবী যাবেন। আপনি তাঁকে আপনার সমস্ত কথা বলবেন। এরপর সঞ্জয় সরাসরি বলে, তিনি এই ঘটনার কিছু জানে না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের চার্জশিটে মোটেই খুশি নয় চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, সিবিআই তাড়াহুড়ো চার্জশিট দিয়েছে। গোটা ঘটনাটি সঞ্জয়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয় বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাই আজ, মহাষষ্ঠীর সকালে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছে ডক্টর্স ফোরাম, মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার এবং নার্সেস ইউনিটি সংগঠন। তাঁদের দাবি, সিবিআই চার্জশিটে শুধু সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করেছে। এই বিষয়টি তাঁরা মেনে নিচ্ছেন না। তদন্তে খামতি আছে। সিবিআইয়ের এই চার্জশিট আসলে কলকাতা পুলিশের তদন্তকেই সিলমোহর দেয়। তাঁদের বক্তব্য, ‘৯ অগস্ট থেকে ৯ অক্টোবর। দু’মাস অতিক্রান্ত। অথচ এটা কি তদন্তের নমুনা? তাঁদের কথায়, “সিবিআইয়ের চার্জশিট হতাশাজনক, হাস্যকর। ৫৫ দিন তদন্ত করার পর সিবিআই বলছে, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয় রাই একা! অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একাধিকজনের উপস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছিল।” তাঁদের প্রশ্ন, “তাহলে কি সিবিআই কোনও কিছু আড়াল করতে চাইছে?”
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক।...
Read more
Discussion about this post