অসুস্থ হয়ে আইসিইউ ও সিসিইউ-তে দুই অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক। তবুও আন্দোলনের ঝাঁঝ কমছে না। দেখতে দেখতে ৭ দিন পার, নিজেদের অবস্থানে অনড় অনশনকারীরা। লিভার,কিডনিতে সমস্যা নিয়ে অনিকেতের পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার অলোক ভার্মা এদিন হাসপাতালে। চিন্তা বাড়ছে। এর মাঝেই কিঞ্জল নন্দকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন শ্রীলেখা মিত্র। ধর্মতলায় মাইক হাতে কিঞ্জল বলেন, ‘যে বিপুল সংখ্যক মানুষের সাড়া পেয়েছি, অষ্টমীর সন্ধ্যেবেলা আমাদের সাথে, আমাদের দাবির, অধিকারে গলা মিলিয়েছেন… তাঁদের সকলকে আমাদের তরফ থেকে প্রণাম জানাই। আমাদের এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন, যাঁরা এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রঙে রাঙানোর চেষ্টা করছে, তাদের WBJDF-কে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে’। কিঞ্জলের এই বক্তব্যেই আপত্তি শ্রীলেখার। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘কালকে ধর্মতলায় আন্দোলন ও প্রেস মিটের সময় ভিড়ে পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম বিশ্বাস করুন ছাই না করুন। সেটা কথা নয়, কিঞ্জল নন্দ সহ এমডি সেলিম এবং অনশনকারী ডাক্তারদের বক্তব্য শুনলাম, আসল কথায় ফিরি- কিঞ্জলের এখনও ওই অরাজনৈতিক বিষয়টা কানে লাগলো… খানিক অবাক হলাম, হালকা বিরক্ত হলাম… এখনও? কোনও আন্দোলন অরাজনৈতিক হয় কি? কে জানে কম বুঝি আজকাল হয়ত। কারুর সংগ্রামকে অপমান করছি ভেবে বসবেন না যেন!’ এদিকে সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে কিছুটা ‘অরাজনৈতিক’ মন্তব্য করে বাম সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দকে। এবার সরাসরি তাঁকে নিশানা করে পোস্ট করলেন এক নেটিজেন। সোমা দত্ত নামে ওই মহিলার পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে কিঞ্জলের তুলনা করে সোমা জানান, কিঞ্জল নন্দকে একটাই কথা বলবো, ওঁর স্ক্রিপটেড ভাষা বলে আন্দোলনের ক্ষতি করবেন না। ফেসবুক পোস্টটি ধরে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, ‘সিপিএম সর্বত্র আমার ভূত দেখে, জানি। আমোদ পাই। কমরেড, এই অনশন নিয়ে নিজেদের বিতর্কেও আমাকে খুঁজে পেলেন আর এইসব পোস্ট করলেন! কিঞ্জলকে আমি চিনি, কিন্তু এসব নিয়ে ওর সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি এখনও। ওর কোনও কথা কমরেডদের অপছন্দ হতে পারে, কিন্তু ওর বিশ্বাসযোগ্যতাকে আক্রমণ করবেন না।’
বাংলাদেশ শীঘ্রই সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে , সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ করে ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনা...
Read more
Discussion about this post