সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্ত ওই গ্রামের এক পাহারাদার। ২০২৩ সালের ঘটনায় সাজা শোনাল আদালত। প্রথমে শিশুটিকে তিনি ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তা ব্যর্থ হলে পাথর দিয়ে শিশুর মাথা থেঁতলে দেন তিনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের হয়েছিল। তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয় ওই পাহারাদার। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১.২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতেও বলা হয়েছে। এই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা। আগরার এত্মাদপুরে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল সাত বছরের শিশু। ওই গ্রামেই পাহারাদারের কাজ করতেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, খেলা করতে দেখে তিনি শিশুটিকে ডেকে নেন। তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যান নিরিবিলি এলাকায়। তার পর সেখানে ওই শিশুকে তিনি ধর্ষণ করেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য শিশুটিকে খুন করেন। প্রথমে পুকুরের জলে ডুবিয়ে শিশুটিকে মারার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। তা কাজে লাগেনি। এর পর পাথর দিয়ে মেরে শিশুর মাথা থেঁতলে দেন। তার পর দেহ পাশের মাঠে ফেলে পালিয়ে যান তিনি। মেয়ে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না আসায় স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। পরে মাঠ থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অভিযুক্তের সঙ্গে শিশুটিকে দেখা গিয়েছিল। আগরার এসিপি সুকন্যা শর্মার নেতৃত্বে তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া চুলের সঙ্গে অভিযুক্তের ডিএনএ মিলিয়ে দেখে। পকসো আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সব কিছু বিবেচনা করে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন ও মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মৃত শিশুটির বাবা। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। এদিকে রায় ঘোষণার দিন এমনকী মামলা চলাকালীন একবারও দোষীর পরিবারের কেউ তার দেখা করতে যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
উপলক্ষ্য ছিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা। কিন্তু মুর্শিদাবাদে যা হল সেটা তার থেকেও বড় কিছু। যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন...
Read more
Discussion about this post