আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। ঘটনার পর প্রায় তিনমাস হতে চলেছে, তবে এখনও সুবিচার মেলেনি। বর্তমানে প্রত্যেকের দাবি একটাই, দ্রত সুবিচার। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে আর জি করের মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তুভ বাগচী-সহ অন্যান্যরা। অভয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, ওনাদের পরিবারের যে লড়াই সেই লড়াইয়ে বিরোধী দলনেতা হিসাবে একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে ওনারা চান যেন আমি ওনাদের পাশে থাকি।শুভেন্দু বলেন, ‘আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর ফোন থেকে ওনার বাবা ফোন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যারের সরকারের দ্বারা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সহযোগিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ দফতরের বেতন পাওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার কর্তৃক ও সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডল, বিনীত গোয়েল, অভিষেক গুপ্তা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যS ধর্ষণ ও খুন হয়েছে তার বিচার চান ওনারা। ওনাদের সঙ্গে একান্তে কথা হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন ছিলেন। ওনারা আমাকে বলেছেন, আপনি আমাদের মেয়েকে বোন বলেছেন। তাই বিচার দেওয়ার দায়িত্ব আপনার। আপনাকে আমার পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। আমি নিঃশর্তভাবে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। আজ থেকে বন্ধনটা আরও জোরদার হল। ওনার পরিবারের একজন শুভার্থী হিসাবে আমরা একসাথে বিচারের জন্য লড়ব। আর যারা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন, বিচার দিতে চাইছেন না, যারা ধর্ষকদের আড়াল করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পথে ও সড়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ ছাড়া লড়াই হবে।’ অমিত শাহের সঙ্গে দেখা না হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা জনসমক্ষে বলতে চান না। তিনি দলের কর্মী হিসেবে এটুকু তাঁদের জানিয়েছেন যে কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করতে পারেননি।
সাম্প্রতিক অতীতে গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দেওয়া আর জি কর কাণ্ডে নতুন মোড়। কলকাতার এই নামী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরই...
Read more
Discussion about this post