খাস কলকাতায় ভর সন্ধ্যায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি! লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলি লাগে বাড়ির দরজায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কসবার অ্যাক্রোপলিস শপিং মলের কাছে। সেই সময় বন্দুক সহ এক যুবককে এলাকার মানুষজন ধরে ফেলে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের বিশাল টিম। ঘটনার প্রতিবাদে কসবায় পথ অবরোধ শুরু করেছেন ওই কাউন্সিলরের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকে ধরতে হবে, এবং এই হামলার পেছনে মূল মাথাকে তাঁকেও দ্রুত সামনে আনতে হবে। তবে সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে, জানি না। তবে গোটা ঘটনায় আমি ব্যথিত। কারণ, নিজের ওয়ার্ডেই আজকে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল।’ ঘটনাক্রম থেকে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই দুষ্কৃতীরা। কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ধৃতকে জেরা করে শুক্রবার রাতে বন্দর এলাকা থেকে এক ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, খুনের আগে ওই ট্যাক্সিতে চড়ে এলাকা রেকি করে গিয়েছিল যুবরাজ-সহ অন্যরা। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, যুবরাজের সঙ্গে একজন বাইকে থাকলেও আশেপাশে ছড়িয়েছিল আরও কয়েকজন। তবে পরিস্থিতি অনুকুল নয় বুঝেই তারা পালিয়ে যায়। ঘটনায় আতঙ্কিত তৃণমূল কাউন্সিলর। কী কারণে খুন? খুনের বরাত দিয়েছিলেন কি স্থানীয় কেউ? প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জন বাইক আরোহী ছাড়া একজন বিহারের বাসিন্দা। ঘটনায় ভিনরাজ্যের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গোটা অপারেশনে ৫-৬ জন যুক্ত রয়েছে। তারা বিহারের বাসিন্দা। শনিবার এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়ংকর। কখন কার গুলি লেগে যাবে কেউ জানে না। সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের সঙ্গে মিশে অশান্তি করছে। সবাইকে বলব সাবধানে থাকুন। কারণ কার কখন গুলি লেগে যাবে কেউ জানে না।’ এদিন সরাসরি তৃণমূলকে নিশানা করলেন দিলীপ। বললেন, ‘সমাজ বিরোধীরা সব তৃণমূলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ এখন তাঁদের মধ্যেই জন প্রতিনিধি হয়েছে। আর পুলিশের কাজ একটাই, গরুর গাড়ি, বালির গাড়ি থেকে টাকা তুলে পার্টিকে দেওয়া। ফলে অপরাধীরা যা খুশি করছে। কেউ কিছু বলছে না।’
জেলায় জেলায় ট্যাব 'দুর্নীতি'। বাদ নেই কলকাতাও! যাঁরা জড়িত, তাঁদের গুলির করে মারার নিদান দিলেন বাঁকুড়া তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।...
Read more
Discussion about this post