একটা সময় ছিল, যখন দু-জনের সম্পর্ক ছিল সাপে নেউলের মত। একে অপরের মুখোমুখি হলেই, ভক্তরা চিন্তায় থাকত এই বুঝি কিছু একটা ঘটে যাবে। আর হতোও তাই, দুজনে মুখোমুখি হলেই কিছু একটা ঝামেলা বাঁধবেই। কিন্তু সবটাই ছিল আইপিএলকে কেন্দ্র করে। পরে দু-জনেই যা স্পষ্ট করেছেন যে, দু-জনেই চাইত জিততে এবং তার জন্য যে কোন রকম পরিস্থিতির সামনা সামনি করতে প্রস্তুত ছিলেন দু-জনেই। এখন সেই দু-জনের জুটি বিপক্ষকে চুরমার করতে, তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে এটা স্বাভাবিক। আর তিনি যে বিরাটকে কোন চোখে দেখেন তা বোঝা যায়, জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর, বার বার বিরাটের আগ্রাসন এবং রানের খিদের প্রসংশা করায়। এক সাক্ষ্যাতকারে তিনি বলেছিলেন, শচিন তেন্ডুলকর প্রসংশিত হয়েছেন ক্রিকেটের জন্য, আর ক্রিকেট প্রসংশা পেয়েছে বিরাটের জন্য। হ্যাঁ বক্তা হলেন গৌতম গম্ভীর, যিনি খারাপ সময়ে বার বার বিরাট কোহলির ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন । প্রতিটি সিরিজ় শুরু হওয়ার আগে কোহলির রানের খিদের প্রশংসা করেছেন। দীর্ঘ দিন পর সেই কোহলি রানে ফিরেছেন। পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন তিনি। রবিবার শতরানের পর সাজঘরের দিকে যাওয়ার সময় কোহলির দিকে দৌড়ে যান গৌতম গম্ভীর। তার পর কি হল দুজনের মধ্যে?পার্থে কোহলির শতরানের পরেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন ভারতের অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা। ডাগআউটে তখন দাঁড়িয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়সওয়াল, সিরাজরা কোহলির পিঠ চাপড়ে দেন। হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় কোহলিকে।ইনিংস শেষে কোহলি যখন সাজঘরের দিকে যাচ্ছেন তখন দেখা যায় গম্ভীর তাঁর দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন ভারতের কোচ। কানে কানে কিছু একটা বলেন। নিশ্চয় কোহলির ইনিংসের প্রশংসা করেন তিনি। তার পরে কোহলির পিঠ চাপড়ে দেন গম্ভীর। এই দৃশ্য দেখে পরিষ্কার, যে তিনি বার বার বলেছেন কোহলির রানে ফেরাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা, আর সেটা যখন সত্যি হলে তখন আনন্দে ফেটে পড়লেন তিনি।কয়েক বছর আগে ছবিটা অন্য রকম ছিল। আইপিএলে বার বার বিবাদে জড়াতেন তাঁরা। কিন্তু গত বছর কেকেআরের মেন্টর হওয়ার পর কোহলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল হয়। ভারতের কোচ হওয়ার পর সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। বার বার কোহলির হয়ে মুখ খুলেছেন গম্ভীর। জানিয়েছেন, কোহলির রান পাওয়া সময়ের অপেক্ষা। সেই কোহলি যখন শতরান করেছেন তখন আর থাকতে পারেননি গম্ভীর। দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন তাঁকে। কোহলি ভারতীয় হিসাবে প্রথম ব্যক্তি, যার অস্ট্রেলিয়াতে শতরানের সংখ্যা সবথেকে বেশী। পরে টেস্ট ম্যাচগুলিতেও তিনি এরকমই সাফল্য পান, সেই দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী এবং বিরাট অনুগামীরা।
পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী দল !যে রেকর্ডার বিশ্বের কোন দলের নেই ,সেই সেলকাদের সোনালি দিন, আজ অতীত, ব্রাজিল যেন আজ ধু৺কছে!...
Read more
Discussion about this post