বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার প্রেক্ষিতে ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন। ভারতীয় সাহায্য নিয়ে শেখ হাসিনার আত্মগোপন ভারতে। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ পদ্মাপার। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা যে কোনও মুহুর্তে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় পাল্টা জবাব দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একদিকে যেমন চট্টগ্রাম ও যশোর সেনানিবাসের সেনা সদস্যদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামান, তেমনই সমরাস্ত্রের ঘাটতি মেটাতেও কোমর কষে ঝাঁপিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতেই বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। ওই বৈঠকেই পাকিস্তানের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, খালেদা জিয়ার শাসনামলে পাকিস্তান থেকে সেনাবাহিনীর জন্য প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র কিনেছিলেন। তার মধ্যে ছিল ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বখতার শিকান। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ২৮৬টি ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়েছিল। এছাড়াও তুরস্ক থেকে দূরপাল্লার টিআরজি ৩০০ টাইগার এবং টিআরজি-৩০০ নামাঙ্কিত ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অস্ত্রভান্ডারে মজুত রয়েছে এমআই-১৭১ এসএইচ, মিগ-২৯ ও এফ ৭ যুদ্ধবিমান। তবে ভারতের রাফাল যুদ্ধ বিমানের জবাব দেওয়ার মতো তেমন কিছু হাতে নেই। তাই পাকিস্তানের দখলে থাকা অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতও। বিগত কয়েকমাস ধরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ফাটল চওড়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি বাড়িয়েছে সেনা। সীমান্ত এলাকাগুলিতে দুপুরের পর থেকেই সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। যার রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমানু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারের। অর্থাৎ বাংলাদেশকে চারিদিকে ঘিরে ফেলছে ভারত। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউনূসের। এদিকে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস কে নিয়ে ঢাকা-দিল্লির মধ্যে দুরত্ব বাড়তেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে আসরে নেমেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতেই কট্টর ভারত বিরোধী হিসাবে পরিচিত বিএনপি নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। যদিও বিএনপি’র তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই হাজির হয়েছিলেন পাক দূত।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক।...
Read more
Discussion about this post