বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে সম্বোধন করে, ইসরায়েলের সাথে ভারতের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে রক্ষা করে বলেছিলেন যে নিরাপত্তা হুমকির সময় দিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং উভয় পক্ষেরই একটি শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত নিয়ে ভারসাম্যের পথে হাঁটলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক দিকে, তিনি প্যালেস্টাইন সঙ্কটে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে সওয়াল করলেন। অন্যদিকে, হামাসের সন্ত্রাসবাদের দিকে ইঙ্গিত করে জানালেন, সন্ত্রাসবাদ এবং অপহরণের মতো ঘটনাকে অবজ্ঞা করতে পারে না ভারত, কারণ, তারা নিজেরা জঙ্গিবাদের শিকার। হামাসের সন্ত্রাসবাদের দিকে ইঙ্গিত করে জানালেন, সন্ত্রাসবাদ এবং অপহরণের মতো ঘটনাকে অবজ্ঞা করতে পারে না ভারত, কারণ, তারা নিজেরা জঙ্গিবাদের শিকার। এদিন সিপিএমের জন ব্রিটাস, তৃণমূলের সাকেত গোখলে প্রশ্ন করেন, ভারত প্যালেস্টাইনবাসীর জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানোর কথা বললেও ওই ভোটাভুটি থেকে পিছিয়ে গেল কেন? জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করি। এই নিয়ে ধোঁয়াশা থাকা উচিত নয়। যখন কোনও প্রস্তাবে ভারসাম্যের অভাব থাকে, অথবা প্রস্তাবটি বিভাজনের নীতির কথা বলে বা যার কুপ্রভাব আমাদের জাতীয় স্বার্থের উপর পড়তে পারে, তখন সেই প্রস্তাব সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে আমরা যোগ দিই না। এই বিশেষ ক্ষেত্রে প্রস্তাবটি সব দিক ভেবে তৈরি করা হয়নি। তাই ওই ভোটাভুটিতে যোগ দিইনি।” বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, “ওই প্রস্তাবে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ রাখা হয়নি। অপহরণের প্রতিবাদ করেও কোনও কথা বলা হয়নি।” এদিকে বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কেন্দ্র৷ এদিন দিল্লিতে এই নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ এরপরেই রাজ্যসভার লিখিত বিবৃতি পেশ করে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারত সরকার বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন৷ যেভাবে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনায় বাংলাদেশে হিন্দুদের নিশানা করা হচ্ছে, তা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত। গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের ৫০টি জেলায় অন্তত ২০০টির বেশি এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর কাছে গভীর উদ্বেগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। কারণ, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশও বাংলাদেশের ঘটনায় প্রভাবিত হয়ে পড়ছে। শরিক দলগুলি এবং বিরোধীদের পক্ষ থেকেও মোদীর উপর ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ বাড়ছে। সেসবই আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।এদিন সংসদে প্রাক্তন আমলা তথা রাষ্ট্রদূত জয়শঙ্কর দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে। সেখানে তিনি মোদীকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন সাফ জানিয়ে দেন, যেহেতু বিষয়টি অন্য দেশের তাই এ বিষয়ে কেন্দ্রই যা করার করবে। আমরা এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশেই আছি।
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। এই সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের...
Read more
Discussion about this post