‘র’ আতঙ্কে ইউনূস, ইউনূসের টিমেই রয়েছে মোদির এজেন্ট

বাংলাদেশে এখন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ে উঠলেও শান্তির বাতাবরণ নেই বলেই অভিযোগ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস শান্তি স্থাপন করতে পারছেন না বলে নানা মহল বলছে। বাংলাদেশে ঘটে চলা একের পর এক ঘটনা, তাতে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ক্রমশ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সমীকরণকে জটিল থেকে জটিলতর জায়গায় নিয়ে চলে যাচ্ছে৷ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জটিল জায়গা যেতে পারে সম্প্রতি বাংলাদেশের মুহম্মদ ইউনূসের প্রশাসনের একটি সিদ্ধান্তে৷ জানা যাচ্ছে চুপিসারে বাংলাদেশে ভারতীয় র পাঠিয়েছে মোদি সরকার। সেখান থেকে বাংলাদেশের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখছে ভারত। এছাড়াও বাংলাদেশ পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র সহ ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে -বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্টদের গতিবিধি বৃদ্ধি পাবে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই সিদ্ধান্তের অর্থ বাংলাদেশে পাকিস্তানি ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্টদের অবাধ গতিবিধি, যা ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে  কারণ দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও নজরদারি ছাড়া সীমান্ত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে পাকিস্তানের জন্য ভিসা নিয়ম শিথিল করার বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ ঢাকা এখন ইসলামাবাদ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে আরও গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে তুলতে পারবে। এই পদক্ষেপটি পাকিস্তান-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং  ঢাকা যাতে দিল্লির প্রভাব  দূরে সরে যায় তা নিশ্চিত করবে এই পদক্ষেপ৷ভারতের জন্য এটি একটি নিরাপত্তা উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে উঠতে চলেছে৷  পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই নতুন সম্পর্ক ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে, বিশেষ করে অসমে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির  ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ রিটায়ার্ড কর্নেল অজয় রায়না  একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক, দাবি করেছেন যে এটি একটি ‘প্রতিষ্ঠিত সত্য’ যে আমেরিকা পাকিস্তানের আইএসআই-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন এনেছে। রায়নার মতে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে কারাগারে বন্দি সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দিয়েছে , শুধু এটুকুই নয় তারা বর্তমান প্রশাসনের অঙ্গ৷ তিনি আরও বলেন, “এটা মোটেও আশ্চর্যের কিছু হবে না যদি বাংলাদেশ আবার পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত হয়, যেমনটি ছিল ১৯৭১ সালের আগে। তারা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে একত্রিত হবে,” বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কাছাকাছি আসার উদ্বেগ প্রকাশ করার সময় এই সেনা প্রবীণ দাবি করেন। এর ফলে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা,  আন্তর্মাদক চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাবে।একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তান-সমর্থিত চরমপন্থী সংগঠন, জামাত, সিলেটের  এলাকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের ক্যাডারদের অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অসম-মেঘালয় সীমান্তের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংবেদনশীল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ইসলামিক মৌলবাদীরা রয়েছে।