বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বহু নেটিজেন এবং রাজনীতিবিদ ভারত দখল নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে অনেকেই অনেক আলটপকা মন্তব্য করেছেন। তবে এরই মাঝে সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি পোস্ট ঘিরে জোর বিতর্ক হয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্য মিলিয়ে ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মাহফুজ। তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে অবশ্য বিতর্ক শুরু হয় বাংলাদেশেই। কারণ প্রতিবেশী দেশের জমি দখল করার এই বার্তা দেওয়া ব্যক্তি মহম্মদ ইউনুসের ‘ডান হাত’। সেই মাহফুজ আলমকে এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউনুস। মাহফুজকেই ‘বিপ্লবের মাথা’ আখ্যা দিয়েছিলেন ইউনুস। এহেন ‘মাথা’ যখন প্রতিবেশী দেশ দখলের কথা বলে, তখন তা নিয়ে বিতর্ক হওয়াই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি মাহফুজ আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা তিনি। তাঁর কোনও মন্ত্রক বরাদ্দ নেই, অর্থাৎ তিনি প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে সমস্ত দফতরেই নজরদারি করেন। আমেরিকাতেও একটি অনুষ্ঠানে মাহফুজ আলমকে বাংলাদেশে জুলাই-অগস্টে হওয়া “পরিকল্পিত বিপ্লবের প্রধান মাথা” বলে পরিচয় করিয়েছিলেন। সেই মাহফুজ আলম বিজয় দিবসের রাতে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। দুই ঘণ্টা বাদে সেটি ডিলিটও করে দেন বিতর্কের মুখে পড়ে। ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মাহফুজের পোস্ট। মাহফুজের দাবি, অখণ্ড বাংলা স্বপ্ন তাদের। ভারত, পাকিস্তান রাজনীতির কারণে বাংলা খণ্ড খণ্ড হয়েছে। তার কথায়, “বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয় ।মুক্তি এখনও বহুত দূরে। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জনপদ পুনরুদ্ধার ব্যতিত পোকায় খাওয়া পূর্ব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আমরা মুক্তিকে ছুঁতে পারব না। এ রাষ্ট্রের জন্মদাগ তথা ভারত নির্ভরতা ও ভারতের আধিপত্য মুক্ত রাখতে ৭৫ আর ২৪-র ঘটাতে হয়েছে। দুই ঘটনার ব্যবধান ৫০ বছর। কিন্তু আদতে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। নতুন ভূগোল ও বন্দোবস্ত লাগবে। একটি খণ্ডিত ভূমি, একটা জন্মদাগ নেওয়া রাষ্ট্র দিয়ে হয় না।” সহজ কথায় বলতে গেলে, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ ত্রিপুরা, মণিপুর সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে দখল করে অখণ্ড বাংলা তৈরির কথা বলেছেন। মাহফুজ আলমের কথায়, এই ম্যাপ তৈরি না হলে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন হবে না। আর মাহফুজের এহেন পোস্ট নিয়ে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করা হয় গতকাল রাতে। এর জবাবে সাংবাদিককে অবশ্য মিলার বলেন, ‘আমি এই ধরনের কোনও পোস্ট সম্পর্কে অবগত নই। আপনি আমাকে এখন যা বললেন, এর বাইরে আমি আর কিছু জানি না। সাধারণ নিয়মানুযায়ী, আমি যে বিষয়টি দেখিনি বা অবগত নই, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’ এ প্রসঙ্গে গণঅধিকারের সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “একটা নাবালকও জানে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করলে আমাদের কী অবস্থা হবে। অসম, ওড়িশা, বিহার দখলের হুমকি দিয়ে ভারতকে বলার সুযোগ করে দিলেন। কারণ মাহফুজ আলম সরকারের অংশ। তিনি ইউনূসের পর সবথেকে ক্ষমতাবান। তার মানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা সহ সব পদে রয়েছেন। সেই পদে বসে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।”
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক।...
Read more
Discussion about this post