বাংলাদেশে মাথা তুলছে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র। আরাকান আর্মির দৌরাত্ম বাড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিয়ে চাপ বাড়ছে ইউনুস প্রশাসনেরও। রাখাইন প্রদেশের পাশাপাশি এবার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করেছে স্বাধীনতা আরাকান রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির।
বাংলাদেশের পাশে জন্ম নিতে যাচ্ছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। যে কোন সময় আত্নপ্রকাশ ঘটিয়ে স্বাধীন হতে পারে দেশটি। প্রায় দেড় দশক ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি।এই আরাকান আর্মি হল মিয়ানমারের শশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। রাখাইন রাজ্যকে ঘিরে ইতি মধ্যেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যার ৮০ শতাংশ এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। এই রাখাইন প্রদেশ আবার চট্টগ্রামের পাশেই অবস্থিত। তাই যখন আরাকান আর্মি রাখাইন প্রদেশ ও তার পার্শবর্তী অঞ্চল গুলি পুরোপুরি দখল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তখন চাপে পড়ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম হাত ছাড়া হয়েছে যাওয়ার ভয়ে রাতের ঘুম উড়েছে ইউনুস সরকারের। এমনকি বাংলাদেশ ভারতকে নিয়েও প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত। কারণ দিল্লিতে বৈঠকের পরই নতুন অস্ত্র আসছে আরাকান আর্মির হাতে। তাই আরাকান দের আড়ালে আদৌ যে ভারত নতুন খেলা শুরু করেছে সে কথা প্রতি মুহূর্তে টের পাচ্ছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার।
বাংলাদেশের শিয়োরে সংক্রান্তি! সীমান্তের নিকটবর্তী মায়ানমার মিলিটারির ওয়েস্টার্ন কমান্ড দখল করলো আরকান আর্মি। এই ওয়েস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশে অবস্থিত। তাই এই পরিস্থিতিতে চাপে পড়ছে বাংলাদেশ তা বলাই যায়।
উল্লেখ্য গত কয়েক সপ্তাহে মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাগাতার গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে এসেছে । বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম গুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বুধবার রাতেও কিছুসময় বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এই বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিস্ফোরণের বিষয়টা বুধবারের আগে ন’দিন টেকনাফ থেকে মুছে গিয়েছিলো। কিন্তু বুধবার রাতে ঘণ্টাখানেক ফের তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে নতুন করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কে দিন কাটছে, রাতের ঘুম উড়েছে বলে দাবি করা হয় টেকনাফ প্রশাসনের তরফে।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কিছুদিন আগেই মায়ানমারে মংডু এলাকা দখল করেছে। এর ফলে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং আগে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা জোড়ালো হয়েছে। সম্প্রতি মায়ানমারে আরও একটি এলাকা চলে গেছে আরাকান আর্মির দখলে। ফলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা দখল হওয়ায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সমস্যা বাড়তে পারে।
সর্বশেষ মংডু দখল করার মধ্য দিয়ে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে পরাজয়ের সংকেত।খুব দ্রুত হয়তো আত্মপ্রকাশ ঘটাতে যাচ্ছে কক্সবাজারের পাশে নতুন একটি দেশ আরাকান রাষ্ট্র।
ইতোমধ্যে ভারত-চীনের মতো দেশগুলো যোগাযোগ শুরু করেছে আরাকান আর্মির সাথে।তৎপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পড়তে যাচ্ছে সম্পর্কের নতুন সমীকরণে।প্রতিষ্ঠার মাত্র দেড় দশকের কম সময়ের মধ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে রাখাইন আর্মি তৈরী করতে যাচ্ছে নতুন দেশ।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেকোন সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারে রাখাইন আর্মি।দক্ষিণ এশিয়ার নতুন দেশ হতে যাচ্ছে রাখাইন রাজ্য।বাংলাদেশের সাথে থাকা মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটারের সীমান্ত এখন পুরোটাই রাখাইন আর্মির দখলে।
Discussion about this post