দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে নজর রেখেছে গোটা বিশ্ব। কারণ আজকের পর আমেরিকার ডোনাল্ড
ট্রাম্প পাকাপাকিভাবে ক্ষমতায় এসে বিশ্বের দরবারে পরিবর্তন হতে চলেছে, যার ইঙ্গিত দিয়েছে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। তবে কি ঢাকার জন্য বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে ওয়াশিংটন? সেই প্রসঙ্গই উঠছে বিভিন্ন মহলে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তবে আমন্ত্রিত নয় পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এর মধ্য দিয়ে উঠছিল তবে কি পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশকে বিশেষ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? যদিও কতদিন বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে মোহাম্মদ ইউনুস থাকবেন সেটা এখন বড় প্রশ্ন চিহ্ন! তার উত্তর দেবে সময়।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ আর আর বাংলাদেশ নিয়ে বারবার কেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি খবর করছে? কি এমন যোগ সূত্র রয়েছে এই দুটি দেশের মধ্যে?
আসলে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে যেমন ভারত সুর ছড়িয়েছে, ঠিক একইভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বার্তা দিয়েছেন ইউনূসকে।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন হয়নি। এমনকি নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। সুর ছড়িয়েছে বিএনপির মতো শক্তিশালী দলও। বিএনপির কাছে কৃতিত্ব বিভিন্ন সভা থেকে কার্যত হুংকার ছেড়েছেন মোঃ ইউনুসের বিরুদ্ধে। শেষমেষ বেশি রূপান্তরের রাজনৈতিক দলগুলির চাপে পড়ে ইউনূস নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন। ২০২৫ এর শেষে অথবা ২০২৬ এর মাঝামাঝি সময়ে। এখন প্রশ্ন উঠছে, ততদিন পর্যন্ত কি মোহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রধান হয়ে থাকবেন?
এদিকে দেশের অভ্যন্তরে মাথা ছাড়া দিচ্ছে একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী। যে রাজনৈতিক দলগুলি ফাসিনা সরকারের আমলে নিষিদ্ধ ছিল, সেগুলিকেই বাড়তে দিয়েছেন মোহাম্মদ ইউনূস। ফলে দিনের পর দিন বাংলাদেশে জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠছে। এমনকি পাকিস্তান থেকেও বহু জঙ্গি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এমন খবর উঠে এসেছে গোপন সূত্রে। আর সেই জঙ্গিরা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য নাশকতার সৃষ্টি করা। যদিও সীমান্তবর্তী এলাকাতে করা প্রহরাই রয়েছ বিএসএফ। অনুপ্রবেশ আটকানোর চেষ্টা চলছে।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মোহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের বৃদ্ধি গোটা দেশে। যা লাগাম টানতে ব্যর্থ ইউনূস। এটা বুঝে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক। এতো গেল দেশের অভ্যন্তরের সমস্যা। বাইরেও প্রবল চাপে নোবেল জয়ী। সীমান্তে আরাকান দের দাপট। চট্টগ্রাম নিজেদের দখলে রাখতে প্রবল লড়াই করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর থেকে চট্টগ্রামকে বাঁচানোই এখন চ্যালেঞ্জ ইউনেসের। খবর রয়েছে তিনি নাকি কিছুদিনের মধ্যেই দেশের বাইরে যাবেন। নিজের প্রেস সচিবকে নিয়ে ইতালি যাচ্ছেন মোহাম্মদ ইউনুস। তারপর তিনি আর দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কাজেই ঘরে বাইরে এখন প্রবল চাপ অন্তর্বর্তী সরকারের। এখন দেখার কিভাবে চাপ সামলে ওঠেন মোহাম্মদ ইউনূস। আরও চাপ বাড়ল ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর।
Discussion about this post