সকলেই জানি ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করে মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন। দোরগোড়ায় যখন ২০ জানুয়ারি সেই আবহে ঠিক তার একদিন আগে ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন সাবেক ইসকন সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখেন। ২০ জানুয়ারি এ মামলার শুনানির কথা বলা হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। আমেরিকায় নির্বাচনী লড়াই এর সময় থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আর নির্বাচনে জয়ী হয়ে শপথ গ্রহন করে তিনি যে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তা আন্দাজ বিভিন্ন মহলের। তবে শপথের আগেই হাই কোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর জামিনের আবেদন আরও কিছুটা ভাবিয়ে তুলছে আন্তর্জাতিক মহলকে।
পাশাপাশি হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়ে আজ ২০ জানুয়ারি চিন্ময়ের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিককে বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আজ জামিন আবেদন শুনানির জন্যে উপস্থাপন করা হতে পারে। এবং চলতি সপ্তাহে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য,বিদায়ী বছরের ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। এসময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত বছরের ২৬ নভেম্বর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত।
এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেন চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু। আবেদনটি বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ১৯ জানুয়ারির কার্যতালিকায় ৩০৬ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
প্রসঙ্গত, চিন্ময় দাস ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার হন। পরদিন গত বছরের ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করেন চিন্ময়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যায়। সেদিন সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
Discussion about this post