বাংলাদেশের খবরে বিরাট আপডেট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাকি সেনা নামতে চলেছে। আসলে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের একটি ঠান্ডা লড়াই চলছে। ঠিক কি ঘটনা, চলুন বোঝার চেষ্টা করি।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলতে কিছু নেই। কিছু রাজনৈতিক দল, ভিন্নভিন্ন ভাবধারা ও লক্ষ্য নিয়ে চলার চেষ্টা করছে। কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য মরিয়া, কোনও দল জঙ্গি সংগঠনকে পাথেও করছে। আবার কোনও দল শুধুমাত্র ভারতের দিকে আঙ্গুল তুলছে। নেই স্থায়ী কোনও সরকার। সরকারি থাকে উপদেষ্টারা নতুন আত্মপ্রকাশ হওয়া দলে ভিড়েছেন, নতুন নতুন নিয়ম তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ শুধু ভারত বিদ্বেষী মনোভাবকে জাগ্রত করছে কিছু মানুষের মধ্যে। ফলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনার কোন লক্ষণই নেই বাংলাদেশে। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হয়েছে গত সাত থেকে আট মাসে। আর এই পরিস্থিতিতে খবর, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নাকি সেনা নামতে চলেছে সে দেশে।
এর মধ্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের একটি ক্ষীণ আশা দেখা যাচ্ছিল, সেটা এখন আর নেই। অর্থাৎ নির্বাচনের কোন প্রস্তুতি শুরু হয়নি পদ্মা পাড়ে। শুধু তাই নয়, নির্বাচন নিয়ে সরকারের অন্দরে মতানৈক্য তৈরি হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে খুন, ডাকাতি, ধর্ষণের ঘটনা। অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। ঠিক যেমনটা কয়েকদিন আগে বলেছিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান।
বাংলাদেশের একটা বড় অংশ এখনও সেনাপ্রধানকেই ভরসা করে। দেশের সংকট পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর উপর বরাবর আস্থা রেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। ওয়াকিবহালমহল বলছে, এবারও তাঁর অন্যথা হবে না। কিন্তু এই অরাজক পরিস্থিতি থেমে যাক, এটা কি কোনওভাবে চাইছেন না মোহাম্মদ ইউনুস? অন্তত তার কার্যকলাপ দেখে এই প্রশ্নগুলোই উঠছে। সূত্রের খবর, ওয়াকার উজ জামানকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে বহুদিন থেকে। আর তার একমাত্র কারণ, সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে একটি নির্বাচন চাইছেন তিনি। কিন্তু ইকবাল করিম ভূঁইয়া এবং ফাইজুর রহমান, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জোট করে সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছেন। এমনকি রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। এই সমস্ত ঘটনা এক সূত্রে বাঁধলেই বোঝা যাবে, সেবা প্রধান এবং এই শ্রেণীর ব্যক্তিদের সঙ্গে চরম সংঘাত তৈরি হচ্ছে। যেটা গোটা দেশের জন্য মোটেই ভালো নয়।
আর এর মধ্যেই যদি সেনাপ্রধান দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে সক্রিয়ভাবে সেনা নামান, তবে কট্টরপন্থী জঙ্গি সংগঠন থেকে সরকারের অন্দরে বসে থাকা পদাধিকাররা সামলাতে পারবেন তো? এই প্রশ্নই উঠছে।
Discussion about this post