গত সোমবার সন্ধ্যের পর কোনও এক সময়ে নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে এক গোপন বৈঠক হয় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং র-এর ডিরেক্টর রবি সিনহা। তুলসী ও হাসিনার মধ্যে কোন কোন বিষয়ে কথা হয়েছে তা জানা না গেলেও এটুকু জানা গিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পাশে আছেন। আর জানা যাচ্ছে তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে যারা জামায়তে ইসলামী, হিজবুত বা পাকিস্তানপন্থী তাঁদের একটি তালিকা তুলে দেন শেখ হাসিনার হাতে। তাঁকে বলে দেন, দেশে ফিরে এই সেনা আধিকারিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কট্টর ইসলামী সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে কতটা মরিয়া। আর এই কাজ যে মুহাম্মদ ইউনূসকে কোনও ভাবেই করবেন না, সেটাও বুঝে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটানোই হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে সুসংহত করতেই। যাতে ভারতকে চাপে রাখা যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ভালোভাবেই জানেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বতন বাইডেন সরকারের একটা বড় ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া এবং তাঁর জায়গায় একটা পুতুল সরকারকে বসানো সবটাই ছিল বৃহৎ ষড়যন্ত্রের ফসল। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তাই বলেছেন, এই অঞ্চলে ইসলামিস্ট সন্ত্রাসবাদ মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। যার ভুক্তভোগী যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল তেমনই ভুক্তভোগী ভারত – বাংলাদেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি সচেতন ভাবেই পাকিস্তানের নাম মুখে আনেননি। আসলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলাদেশে যে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে তার জন্য দায়ী পাকিস্তান। আর টার্গেট ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে যে উক্তি করেছিলেন বাংলাদেশের বিষয়টা আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরেই ছেড়ে দিলাম। এর পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেন। তুলসী গ্যাবার্ড ভারতে এসেছিলেন সেই মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে। এবার তিনি ওয়াশিংটন ফিরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সবটা অবহিত করাবেন এবং ট্রাম্প গ্রিন সিগন্যাল দিলেই কাজ শুরু করবে ভারত। তবে একাধিক সূত্রে জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ভারতে আসতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্ভবত সেই সময়ই শেখ হাসিনাকে ফের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহাল করা হতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে একটা চঞ্চল্যকর তথ্য জানা যাচ্ছে, তুলসী গ্যাবার্ড নয়া দিল্লি ছাড়ার পরই শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁকে কলকাতা বা সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কোনও এক সুরক্ষিত সেনানিবাসে রাখা হয়েছে। যাতে যে কোনও মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে অতি দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে প্লট তৈরি, রাস্তা তৈরি, শুধুই গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা। মুহাম্মদ ইউনুসের সাম্রাজ্য যাবে, বাংলাদেশে ফের পালাবদল হবে এবং শেখ হাসিনা আবার স্বমহিমায় বাংলাদেশ শাসন করবেন।
বাংলাদেশের জনগণের একটা অংশ যেখানে ভারতের বিরোধিতা করতে ব্যাস্ত। ওই দেশের তদারকি সরকারের অভ্যন্তরেও যেখানে ভারত বিদ্বেষী কয়েকজন উপদেষ্টা আছেন।...
Read more
Discussion about this post