বর্তমানে বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধানের এমন অবস্থা, যেখানেই যা করছেন তাতেই অশান্তি বাঁধছে বাংলাদেশে। যা অত্যন্ত চিন্তায় ফেলেছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলকে। এমনকি তার কাছের ছাত্রনেতারা ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি মোহাম্মদ ইউনূসের একটি বক্তব্য সারা ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশে। যে কারণে দূরত্ব বাড়ছে তার প্রিয় নাহিদ, সারজিস দের থেকে। কিন্তু কি এমন মন্তব্য করলেন প্রধান উপদেষ্টা? যে কারণে বেজায় চটলেন ছাত্রনেতারা বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যরা?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়। সেখানে মোহম্মদ ইউনূস জানান, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার। তবে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে খুন, বা মানবতা বিরোধী অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিচার হবে বাংলাদেশের আদালতে। ইউনূসের এই মন্তব্যে চটেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। ছাত্রনেতারা কার্যত তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন ইউনূসের বিরুদ্ধে। ইউনূসকে তীব্র আক্রমণ করছেন তারা। সাংবাদিক সম্মেলন করে অন্তবর্তী সরকারকে দুষছেন নাহিদ ও অন্যান্য ছাত্র নেতারাম
তবে কি এইবার বাংলাদেশে তদারকি সরকার ভাঙতে শুরু করেছে? নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি বা জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যরা যখন তখন ইউনুসকে তুলোধোনা করছেন। ফলে বলাই বাহুল্য, এই শুরু। এরপর নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই তাদের গৃহযুদ্ধ প্রকট হবে। মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ যে ছাত্রনেতারা তাকে ক্ষমতার অলিন্দে বসালো তারাই সাংবাদিক সম্মেলন করে ইউনূসের বক্তব্যের বিরোধিতা করছে। তবে কি এইবার ক্ষমতা হারাতে চলেছেন নোবেল জয়ী?
এই মুহূর্তে চীন সফরে গিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। তিস্তা মহা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে তিনি চীনে গিয়েছেন। এখানেও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ভারতকে টপকে চীনে গেলেন। সেখানে যে উদ্দ্যেশে তিনি গেলেন, আদেও সেটা পূরণ হবে? নাকি চীনের ঋণের ফাঁদে পা দেবেন ইউনূস? গোটা দেশ কি তবে ডুবতে চলেছে নোবেল জয়ীর হাত ধরে? তখন তার প্রিয় ছাত্রনেতারা তার পাশে থাকবেন তো? গোটা দেশের ক্ষতির দায়ভার কে নেবে? উঠছে এমন একাধিক প্রশ্ন।
Discussion about this post