ফের বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভাইরাল অডিওতে তাকে প্রথমবারের মতো একটু বেশি কঠোর হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি তার নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে প্রতিশোধ পরায়ণ হওয়ার মত কথাও বলেন তিনি। আসলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কোন পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন? এই প্রশ্নটাই উঠছে তার অডিও ভাইরাল হওয়ার পর। এর পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এয়ার কন্ডিশন-এর ভিতর বড় বড় দামী অফিসে বসে যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের সংস্কার ধোপে টিকবে না। যারা সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে বলে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তবে কি বিপাকে পরে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার?
রাজনৈতিক মহলের একাংশ অনেক আগেই বলেছিলেন, ঈদের পর বিএনপি তাদের সক্রিয়তা আরও বাড়াবে। আর সেটার দিকেই এগোচ্ছে বিএনপি। তারেক রহমানের এই মন্তব্য খানিকটা সরকারের বিপক্ষে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল, এই সরকার যে বলছে, আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন…এড়াতে বিএনপি একমত নয়। অর্থাৎ বিএনপিও যে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিচ্ছে সেটা স্পষ্ট।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগও যে সক্রিয় হচ্ছে তা বলার অপেক্ষার রাখে না। শেখ হাসিনার একটি অডিও ফের ভাইরাল ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তিনি ওই অডিওতে, সরকারের বিপক্ষে যেমন কথা বললেন পাশাপাশি তার দলীয় নেতা কর্মীদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দেন। তিনি তার দলীয় কর্মীদের বলেন, প্রতিশোধ নিতে। তাদের উপর আঘাত হানলে যেন নিশ্চুপ না থাকে। ওই ভাইরাল হওয়া অডিওতে ঠিক কি বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা শুনুন…
তবে অনেকে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন যে, শেখ হাসিনার এই বার্তাতে দেশ আরও বিশৃঙ্খলার দিকে চলে যায় কিনা। তবে শেখ হাসিনার এই অডিওর মধ্যে দিয়ে একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, দুঃসময়ে যারা কাজ করবেন, সুসময় তারা নেতা হবে। অর্থাৎ তিনি আশ্বস্ত করলেন তার সমর্থকদের। তবে কি সত্যিই খুব দ্রুত বাংলাদেশে ফিরতে চলেছেন শেখ হাসিনা? প্রত্যেকবার বিভিন্ন ভারুতল বৈঠকে যেমন বলে থাকেন তিনি?
Discussion about this post