বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানা মন্তব্য উঠে আসছে। অনেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গড়িমসি দেখছেন আবার অনেকে বলছেন ভারত চাইছে, 2026 এর জুনের মধ্যে নির্বাচন হোক। নির্বাচন দেরি করে
হোক, এটাই চাইছে নাকি ভারত। এক্ষেত্রে ভারত এবং ইউনূসের সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকে। আসলে বিষয়টি ঠিক কি?
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যখন ভারত এবং ইউনুসের অবস্থান এক বলে গুঞ্জন উঠছে, তখন সেই গুঞ্জনে আরও ঘি ঢেলে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী গত বুধবার ওয়াকফ বিল নিয়ে একটি বক্তব্য রেখেছেন। আসলে ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত বাংলার একটি অংশ। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এই সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গোপনে বৈঠক করা হয়েছে। করুন। এতে যদি দেশের ভালো হয়। হোক। এখানে আমার কিছু বলার নেই। এরপর তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? এত তাড়াহুড়ো কি ছিল? পশ্চিমবঙ্গ হল বাংলাদেশের লাগোয়া একটি রাজ্য। তবে সত্যিই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গোপনে কোনও কথা হয়েছ কিনা, সেটা নিয়ে
সংশয় রয়েছে। তবে খানিকটা মিল খুঁজে পাচ্ছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার পরের বছরের জুন পর্যন্ত নির্বাচন টেনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, তাতে আওয়ামী লীগের ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই দল বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের কাছে ধীরে ধীরে আস্থাভাজন হয়ে উঠছে। পুরোপুরি ভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে আরও একটু সময় লাগবে আওয়ামী লীগের। তাই যত নির্বাচন দেরি হবে তত ভালো হাসিনার দলের। আর এর মাঝে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। ফলে যত সময় গরাবে, তত বিএনপির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে। ফলে নির্বাচনের জন্য বিএনপির এইটাই আদর্শ সময়।
পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ বিলকে কেন্দ্র করে সহিংসার ঘটনা ঘটলো, সেটা পরিকল্পিত। এমনটাই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে সেটা উঠে এসেছে। এমনকি খবর উঠে আসছে, বাইরে থেকে কোনও শক্তি এসে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে? আর এখানেই তত্ব খোঁজার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, বিজেপি সবসময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে নাকি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে ভোট ব্যাংকের জন্য। সেটা ভারত বা বাংলাদেশেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকি সেই জায়গা থেকে মুর্শিদাবাদের এই ঘটনাটিকে ক্লাশ করতে চায় বিজেপি। 2026 এ বিধানসভা নির্বাচন। আর সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করতে একটি খেলা চলতে পারে বিজেপির পক্ষ থেকে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে নির্বাচন নিয়ে কি সত্যিই ইউনুসকে কোনও বার্তা দিয়েছেন মোদী? যদি দিয়ে থাকেন, তবে কি সত্যিই সেটি শুনবেন? যদিও নির্বাচন দেরি করানোর বিষয়ে ইউনূসের সঙ্গে ভারতের অবস্থানে মিল পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন দেখার, সত্যিই বাংলাদেশের নির্বাচন আদেও কবে হয়!
Discussion about this post