শিলিগুড়ি করিডোরে একটি নতুন পরিকল্পনা সম্পন্ন করলো ভারতীয় সেনা। সেই খবর সামনে আসতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অপারেশন সিঁদুরের পর কি এবার নতুন কোনও পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে ভারত? অন্তত বাংলাদেশের এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, সেই নিয়ে নানা বক্তব্য পেশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সামনে এসেছে ভারতীয় সেনার তিস্তা প্রহার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ ১৫ দিনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে কি এমন কোনও তথ্য এসেছে, যেখানে ফের আরো একটি গণ আন্দোলনের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ? কারণ বাংলাদেশ থেকে পাক হয় কমিশনারকে ফিরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হানি ট্র্যাপে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এবং এর জেরেই পাকিস্তানের গোপন তথ্য বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছিল। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন ঘেরাও করেন ছাত্ররা। এছাড়াও আরো একটি আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন। জানা যাচ্ছে, তাদের কিছু নির্দিষ্ট দাবী দাওয়া রয়েছে। এবং সেই জন্যই উপদেষ্টার বিপক্ষে আন্দোলন করেন। আর সেই আন্দোলনে হিজবুত তাহেরির অন্যতম সদস্য, বর্তমানে অন্যতম উপদেষ্টা তার দিকে বোতল ছোরা হয়। যদিও এক্ষেত্রে জামাতের যোগ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদেরকে হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসুভবনের সামনে যে ছাত্ররা বিক্ষোভ করছিলেন তাদের জলের বোতল দিয়ে সাহায্য করা হলো। অর্থাৎ সরকারি বিপক্ষে যারা আন্দোলন করছেন, তাদেরই আবার মদত দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে যখন প্রকৃত আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা, তাদেরকে হুশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে। এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে যে ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছিল, তারা কার্য তো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে কোনও বণিবনা নেই। অর্থাৎ এখন সমীকরণটা স্পষ্ট। একদিকে ছাত্র নেতারা এবং অন্যদিকে জামাত, বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আরো একটি গণআন্দোলনের মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ? এবার কি টার্গেট মোহাম্মদ ইউনুস?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। কারণ মহম্মদ ইউনুস এখনো পর্যন্ত যেতে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছেন, সেটি গোটা বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, তিস্তার ওপর একটি প্রজেক্ট করার কথা ছিল ভারত এবং বাংলাদেশের। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যদি এই প্রজেক্ট কেউ করে থাকে, তবে সেটি ভারত। কিন্তু ইউনুস সরকার চীনের হাতে তুলে দেন সেই প্রজেক্টের ভার।
অন্যদিকে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইউনূস। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এই চীনকে আহ্বান জানান ইউনুস। এবং চীন নাকি একটি এয়ার বেস করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আর এখানেই অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানে যেভাবে বালুচিস্তান প্রায় আলাদা হতে যাচ্ছে, ঠিক একই পদ্ধতিতে এই সমস্ত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বহু মানুষ ক্ষুব্ধ এবং তারা একটি আন্দোলন করতে পারে, এমন সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। অন্যদিকে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলেও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জোট। যেটা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ভারত। এছাড়া আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। সেটি হল বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া। সেটা আরও একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের তদারকি সরকারের।
অর্থাৎ যে কোন মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোর নিতে পারে। আর সেটার প্রভাব সব থেকে বেশি পড়তে পারে শিলিগুড়ি করিডোরে। আর সেটাই ভারতীয় সেনার কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর সেই কারণেই অপারেশন তিস্তা প্রহার। যা লঞ্চ করল ভারতীয় সেনা। যেটি একেবারে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অর্থাৎ ভারতের আতশ কাচের তলায় রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস। এখন দেখার, কোন দরবারে ছুটে যান নোবেল জয়ী।
Discussion about this post